নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশালের হিজলা উপজেলার দক্ষিণ চরদেবুয়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে একই পরিবারের ৮ জনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় মামলার দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার হামলার শিকার অজুফা খাতুন বাদী হয়ে নামধারী ১১ জনের বিরুদ্ধে হিজলা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলার ৬ নম্বর আসামী আব্দুর রহিম কাজীর ছেলে সোলায়মান কাজী রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

মামলার অন্যান্য আসামীরা হলো- একই এলাকার সিরাজ ভূইয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর ভূইয়া, মানিক ভূইয়া, আনিস ভূইয়া ও আলমগীর ভূইয়া, মৃত ফয়েজ উদ্দিন কাজীর ছেলে আব্দুর রহিম, জব্বার বিশ্বাসের ছেলে রাসেল বিশ্বাস, খলিল কাজীর ছেলে বাবুল কাজী, জাহাঙ্গীর ভূইয়ার ছেলে মনির ভূইয়া, মানিক ভূইয়ার ছেলে আরিফ ভূইয়া এবং আলমগীর ভূইয়ার ছেলে শাকিল ভূইয়া। এদের মধ্যে মনির ভূইয়া, আরিফ ভূইয়া, শাকিল ভূইয়া, রাসেল বিশ্বাস, বাবুল কাজী বর্তমানে আদালত থেকে জামিনে রয়েছে।

জামিনে বের হয়ে মনিরসহ অন্যান্য আসামীরা মামলার বাদী অজুফা ও তার পরিবারকে পুনরায় হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে বাদী ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হিজলার দক্ষিণ চরদেবুয়া গ্রামে মৃত ইউনুস আকনের স্ত্রী অজুফাসহ একই পরিবারের ৮ জনকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। আহত অন্যান্যরা হলো আকতার হোসেন ও তার বাবা শাহে আলম আকন, মোকতার আকন, সাইদুল আকন, সাবিনা বেগম, ময়না বেগম, ইয়াসিন আকন, রোকেয়া বেগমকে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে শাহে আলম, আকতার হোসেন ও সাবিনার অবস্থা আশংকাজনক হলে তাদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শাহে আলম ও আকতারের অবস্থা গুরুতর। যেকোন সময় তাদের ঢাকায় প্রেরণ করা হতে পারে। এলাকাবাসীরা জানান, জাহাঙ্গীর, রহিম কাজী ও মানিক ভূইয়া দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ চরদেবুয়া গ্রামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। এলাকার বিভিন্ন মানুষের জমি দখল থেকে শুরু করে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে যে কাউকে হামলাসহ হত্যার হুমকি দেয় তারা। এজন্য তারা একটি নিজস্ব বাহিনী তৈরি করেছে। কেউ ওই বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বললেই তাদের হামলার শিকার হতে হয়।’