নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের ক্যাবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে সোমবার সকালে মহিপুর থানায় একটি মামলা করে কর্তৃপক্ষ। এর পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান বরিশালটাইমসকে মুঠোফোনে জানান, রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় স্থানীয়রা মাটি কাটার সময় স্কেভেটর মেশিনের সঙ্গে ক্যাবল উঠে আসায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের পাওয়ার ক্যাবিল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দিনভর চেষ্টার পর রাত ১২টায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাবল মেরামত করতে সক্ষম হন। বর্তমানে পুরোপুরিভাবে সাবমেরিন ক্যাবল ব্যবহৃত হচ্ছে। ক্যাবল বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে ইন্টারনেট ব্যবহারে যে ধীরগতি ছিল তা এখন আর নেই।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র বারেক মোল্লার ভাই হোসেন মোল্লার পরিচালিত একটি আবাসন প্রকল্পের কাজ করার সময় স্কেভেটর দিয়ে রাস্তার পাশের মাটি কাটা হচ্ছিল। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় স্থানীয়রা মাটি কাটার সময় স্কেভেটর মেশিনের সঙ্গে ক্যাবল উঠে আসায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের পাওয়ার কেবিল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনায় ঠিকাদার কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র বারেক মোল্লার ভাই হোসেন মোল্লাসহ চার থেকে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে মহিপুর থানায় একটি মামলা করেছে কর্তৃপক্ষ।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বরিশালটাইমসকে জানান, সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এর প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’