বার্তা পরিবেশক, কলাপাড়া:: পটুয়াখালির কলাপাড়ায় অব্যাহত বৃষ্টি এবং জোয়ারের পানিতে অন্তত ১৫’শ হেক্টর জমির বীজতলা পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এতে কৃষকের রোপা আমনের বীজতলা অনেক স্থানে নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের চারটি গ্রামে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে একাধিক কৃষকরা জানিয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষি অফিসে একটি অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

একাধিক কৃষক অভিযোগ করে জানান, এ ইউনিয়নের পুরাতন মহিপুর, ইউসুফপুর, বিপিনপুর লতিফপুর গ্রামে গত এক সপ্তাহ আগে বৃষ্টির পানির সাথে জোয়ারের পানি প্রবেশ করলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল মাছ শিকারের স্বার্থে মুলামের খালের জলকপাটটি আটকে রাখে। এতে স্বাভাবিক পানি প্রবাহে বাঁধার সৃষ্টি হয়ে জমে থাকে জোয়ারের পানি সহ বৃষ্টির পানি। দীর্ঘ সাততিন ধরে এমন অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকের রোপা আমনের বীজতলা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অনেক গ্রামে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে ।

কৃষকরা আরও জানান, একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করে মাছ শিকার হচ্ছে। অথচ তাদের কারনে শত শত কৃষক ব্যাপক ক্ষতির সন্মূখিন হচ্ছে। একে তো বীজ সংকটের কারনে অতিরিক্ত দামে ক্রয় করে বীজতলা তৈরী করলেও তা গুটি কয়েক মানুষের কারনে ভেস্তে যেতে বসেছে।

প্রভাবশালী মহল ব্যাপক ক্ষমতাশালী হওয়ায় তাদের নাম কেউ উচ্চারনের সাহস পাচ্ছে না। করোনা ভাইরাসের কারনে কলাপাড়া উপজেলা রেড জোনের আওতায় থাকায় মানুষ অনেকটা কর্মহীন হয়ে পড়েছিল। এতে মানুষের উপার্জন অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছিল। তার মধ্যে কৃষকের ধান উৎপাদন ব্যহত করার অপচেষ্টায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অবিলম্বে তারা মুলামের খাল খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

কৃষকের পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বরিশালটাইমসকে জানান, স্লুইস গেটে কোন সমস্যা থাকলে তার দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের। এছাড়া বাঁধ দেয়ার কারনে পানি আটকে থাকলে সেই বাঁধ কেটে দেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।