নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: আইনজীবী হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে সুদে টাকা ধার নিয়েছিলেন পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীর বাবা। সেই সুবাদে পরিচয়ে ওই কিশোরীকে নিজের সঙ্গে নিয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে ধর্ষণ করেন আইনজীবী। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কারাগারে যাওয়া হাবিবুর রহমান আটোয়ারী উপজেলার ধামোড় ইউনিয়নের বারাগাও গ্রামের মৃত বাবার নাম আব্দুল খালেকের ছেলে এবং পঞ্চগড় জেলা আদালতের আইনজীবী।

কিশোরীর মা ও স্থানীয়রা জানান, ভুক্তভোগীর বাবা সুদের ওপর ১৫ হাজার টাকা ধার নেন হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে। সেই সুবাদে তার সঙ্গে পরিচয় হয় কিশোরীর। গত বৃহস্পতিবার ওই স্কুলছাত্রী বারঘাটি এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে যান হাবিব। কিশোরীকে তার বাবা ডাকছে বলে তার সঙ্গে বাড়ি যেতে বলেন। পরে ইজিবাইকে করে আটোয়ারী উপজেলা সদরের কালিকাপুর গ্রামে বন্ধু সুশীলের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

এ সময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে হাবিবকে আটক করে ঘটনাস্থলে একচোট দেয়।

স্থানীয়রা খবর দিলে মেয়েটি উদ্ধার করে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ। হাবিবকেও আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে রাতে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে আইনজীবী হাবিবুর রহমান হাবিব ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে আটোয়ারী থানায় মামলা করেন। সেই মামলা হাবিবকে গ্রেপ্তার দেখান হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রাজিউর রহমান রাজু সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পেয়েছি। তারপরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগীকে রেফার করা হয়েছে।’

আটোয়ারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইনজীবী হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর দুই আসামি পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’