আমতলী ও তালতলী উপজেলায় গত দুদিনের বৃষ্টিতে ৩০টি ভাটার প্রায় ১কোটি কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গলে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এতে ভাটা মালিকদের প্রায় দেড় কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে ভাটা মালিকরা জানিয়েছেন। আমতলী উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, আমতলী ও তালতলী উপজেলায় প্রায় ৩০টির মত ইটভাটা রয়েছে। এসকল ভাটায় বছরে প্রায় ১০ কোটি ইট উৎপাদন হয়। চলতি মৌসুমের মাঝামাঝি এসে ভাটা মালিকরা বৃষ্টির কারনে ইট উৎপাদনে হোচট খান।’’

শুক্রবার ও শনিবার আকস্মিক টানা দু’দিনের ভারী  বৃষ্টিপাত শুরু হলে মালিকরা তাদের ভাটার প্রায় ১কোটি কাঁচা ইট বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি।’

ভাটায় উৎপাদিত কাঁচা ইট পলিথিন দিয়ে ঢেকে রক্ষার চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হন। বৃষ্টির পরিমান বেশী হওয়ায় মাঠে পানি জমে যাওয়ায় স্তুপ করে রাখা ইটও পানিতে গলে মাঠের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।
রোববার সকালে সরেজমিনে আমতলীর উরষিতলায় আকন ব্রিকস, দক্ষিণ পশ্চিম আমতলীর সাগর ব্রিকস, হলদিয়ার হিজবুল্লাহ ব্রিকস ও সেকান্দারখালীর অটো ব্রিকস, গুলিশাখালীর এনবিএন ব্রিকস ইট ভাটা ঘুরে দেখা গেছে, লাখ লাখ কাঁচা ইট বৃষ্টির পানিতে গলে মাঠে পড়ে আছে। পলিথিন দিয়ে শুকনো কাঁচা ইট ঢেকে রক্ষার চেষ্টা করা হলেও তা শেষ রক্ষা হয়নি।’’

আকন ব্রিকস এর সত্ত্বাধিকারী মো: কামাল আকন বরিশালটাইমসকে জানান, বৃষ্টির পানিতে আমার ভাটার প্রায় সাড়ে ৪ লাখ কাঁচা ইট পানিতে গলে মাঠের মধ্যে মিশে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। তিনি আরো জানান, মাঠের মধ্যে গলে যাওয়া ইটের মাটি সরাতে আরো প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হবে।’

গুলিশা খালীর এনবিএম ভাটার মালিক এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, আমার প্রায় ৪ লাখ টাকা মূল্যের সাড়ে ৩ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। সাগর ব্রিকস এর ম্যানেজার রাজিব খান জানান, বৃষ্টির পানিতে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ইট গলে মাটিতে মিশে গেছে।’’

তিনি আরও জানান, প্রথম দিন পলিথিন দিয়ে শুকনো কাঁচা ইট ঢেকে দিয়েছিলাম কিন্তু মাঠে পানি জমে সব গলে গেছে। এখন নতুন করে ইট তৈরীতে  আরো প্রায় ১৫ দিন সময় লাগবে। তালতলীর লাউপাড়ায় এসটিডি ভাটার মালিক মো: ছোবাহান জানান, বৃষ্টির পানিতে প্রায় লক্ষাধিক ইট নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় দেড় থেকে দু’লাখ টাকা।’’

আমতলী উটজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি সাগর ব্রিকস’র মালিক নাজমুল আহসান নাননু বরিশালটাইমসকে জানান, আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ছোট বড় প্রায় ৩০টির মত ইট ভাটা রয়েছে। আকস্মিক বৃষ্টিতে এসকল ভাটার প্রায় ১ কোটি কাঁচা ইট পানিতে গলে মাটির সাথে মিশে গেছে। এতে আনুুমানিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। গলে যাওয়া ইটের মাটি সরাতে আরো প্রায় অর্ধকোটি টাকা শ্রমিকের পেছনে ব্যায় হবে। তাছাড়া এলাকায় যে পরিমান ইটের চাহিদা রয়েছে সে চাহিদা এবছর মিটানো সম্ভব হবে না ফলে ইটের দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’’