নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: ঐতিহ্যবাহী বরিশাল প্রেসক্লাব নির্বাচন রুখে দিতে বহুমুখী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নেতৃত্ব ধররে রাখতে অপতৎপরতা চলছে। প্রেসক্লাব সদস্য নয়, এমন কয়েকজন ব্যক্তি বিশেষকে দিয়ে আদালতে মামলা করিয়ে নির্বাচন আটকে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার নানান ছক বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, হচ্ছে। বর্তমানে ক্ষমতায় আসীন থেকে কথিত এক সাংবাদিক নেতা নেপথ্যে কলকাঠি নেড়ে যে কোনোভাবে এবারের এই নির্বাচন বন্ধ করে তার ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছে। এতে গুটি কয়েক সদস্যও জড়িত থেকে তাকে পথ বাতলে দিচ্ছে। মামলার বাদী এক সংবাদকর্মী আদালতে তার বক্তব্য তুলে ধরে অভিযোগ সংক্রান্তে অবগত নন আদালতে ব্যাখ্যা তুলে ধরলে নির্বাচন নিয়ে কথিত সাংবাদিক নেতার ছক প্রকাশ পায়। বিপরিতে সংক্ষুব্ধ প্রেসক্লাব সদস্যরা যে কোনো মূল্যে নির্বাচন চাইছেন এবং নির্বাচন কমিশনারও লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশনার এমএম আমজাদ হোসাইন জানান, প্রেসক্লাবের সদস্য নয়, এমন কয়েকজন আদালতে মামলা করলেও তাদের একজন পরবর্তীতে প্রতারিত হওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে অভিযোগ তুলে নেয়। ফলে ঘোষিত তফসিল অনুসারে নির্বাচনী কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ঘোষিত তারিখ ২৪ ডিসেম্বর নির্ধারিত দিনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে নির্বাচনে দুটি প্যানেল অংশগ্রহণ করার শুক্রবার চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে। এবং দুটি প্যানেল তাদের প্রার্থীতা জানান দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবারে একটি মহল ভরাডুবির আশঙ্কায় যেকোনে মূল্যে নির্বাচন বাঞ্চাল করাসহ ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচন হলে চেয়ার হারাতে পারেন এমন আশঙ্কায় কথিত এক সাংবাদিক নেতা বহিরাগতদের দিয়ে ভোট বন্ধে আদালতে দুটি মামলা করিয়েছে। যদিও তার একটি অভিযোগ পরবর্তীতে তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে সেই নেতা নিজের অস্থিত্ব রক্ষায় গুটিকয়েক অপসাংবাদিকদের ব্যবহার করে নির্বাচন আটকাতে নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে- আদালতে ব্যর্থ হয়ে এখন নানান কৌশল নিয়ে নির্বাচন বন্ধে অপতৎরতা চালানো হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের সাথে কে বা কারা জড়িত ইতিমধ্যে তা প্রকাশ পেয়ে গেলেও প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচনের ভাবনা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছে না।

এই বিষয়ে মন্টু নেগাবান-কাজী মিরাজ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী কাজী মিরাজ মাহামুদ জানান, যতদুর জানতে পেরেছি, কলমের কণ্ঠের বার্তা সম্পাদক আরিফের নাম দিয়ে আদালতে একটি মামলা করে। প্রতারণার শিকার আরিফ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়ে পরবর্তীতে এই মামলা তুলে নিলেও নির্বাচন বন্ধে ষড়যন্ত্র থামেনি। নতুন নতুন ছক এঁটে নির্বাচন বাঞ্চাল করে ক্ষমতা ধরে রাখার ফন্দি চলছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার তার সিদ্ধান্তে অনঢ় আছেন এবং যেকোনে মূল্যে নির্বাচন করতে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। বিপরিতে প্রার্থীরাও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত আছে এবং প্রচার-প্রচারণাও অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রেসক্লাবের বিগত নেতৃত্ব নিয়ে সংবাদকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ থাকায় এবারের নির্বাচনে নতুন মুখ ক্ষমতায় আসতে পারে এমন সম্ভবনায় অনেকেই আতঙ্কে আছে। বিশেষ করে পেশাদার নেতৃত্ব ক্ষমতায় আসলে বরিশাল মিডিয়ার কতিপয় অপসাংবাদিকের দৌরাত্ম্য রোধ হওয়াসহ টিকে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়তে পারে সেই ভাবনায় নির্বাচন রুখে দিতে চাইছে। এবং নির্বাচন বন্ধ করে তাদের আধিপত্য ধরে রাখতে বেশ কয়েকজন একট্টা হয়েছে সেই কথিত সাংবাদিক নেতার ইশরায়।

আবার এও শোনা গেছে, সেই কথিত নেতার দুর্দিনের পাশে থাকা বরিশাল মিডিয়ার এক মোড়লের সাথে প্রেসক্লাব নির্বাচন নিয়ে তাদের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না। কারণ কথিত মোড়ল চাইছেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হোক, বিপরিতে কথিত নেতার অভিলাস যেকোন মূল্যে নির্বাচন বন্ধ রেখে ক্ষমতা ধরে রাখার।’