সিলেটের শিববাড়িতে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে অংশ নিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট। সোয়াট ইতোমধ্যে পুরো বাড়ি ঘিরে রেখে চূড়ান্ত অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় পৌঁছায় সোয়াট সদস্যরা।

সোয়াটের একটি দল ঢাকা থেকে ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে সড়কপথে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ‘আতিয়া মহল’ নামের পাঁচতলা বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। বাড়ির নিচতলার ফ্ল্যাটে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা অবস্থান করছে বলে ধারণা পুলিশের।

মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেন জানান, বেলা একটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত হ্যান্ডমাইকে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়েছে। এর মধ্য ১টা ৪৮ মিনিট থেকে ২টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত জঙ্গিরা সাড়া দিয়েছিল। এরপর থেকে আর কোনো উত্তর নেই।

সোয়াট টিম আসায় এখন অভিযান শুরু করার একটি পরিকল্পনা করছে পুলিশ। বেলা আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ১০ বারের বেশি পুলিশের ফাঁকা গুলির শব্দ শোনা গেছে।

বাড়িটির দুইতলা থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত ২৯টি ইউনিটে ২৯টি পরিবার রয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রামের ওই অভিযানের পর আটককৃত বিভিন্ন জঙ্গিদের দেওয়া তথ্যমতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শিববাড়ি এলাকার ৫তলা বাড়িটি ঘিরে রাখে সিলেটের স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ ঢাকা থেকে আসা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা।

এরপর ওই বাড়ির মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় তারা। শুক্রবার ভোর রাতে ভেতরে থাকা জঙ্গিরা গ্রেনেড চার্জ করে বলে স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়। পুলিশও কয়েক দফা গুলি ছুঁড়ে।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার পাঠানপাড়া সড়কের পাশে অবস্থিত পাঁচতলা ও চার তলা বিশিষ্ট দুটি ভবনের নাম আতিয়া মহল। সিলেট নগরীর আতিয়া ট্রেভেলস্ এর স্বত্বাধিকারী দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির বান্দরঘাটের (বন্দরঘাট) বাসিন্দা উস্তার মিয়া।

গত জানুয়ারি মাসে প্রাণ কোম্পানির অডিট অফিসার পরিচয়ে কাওসার আহমদ ও মর্জিনা বেগম ওই বাড়ি ভাড়া নেন বলে জানিয়েছেন বাড়ির মালিক উস্তার মিয়া।