নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: পুলিশ সদস্যদের ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক হতে বলা হয়েছে। পুলিশ সদরদপ্তরের ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স থেকে জারি করা এক আদেশে এ সতর্কতার কথা বলা হয়। পুলিশের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা আদেশ পাওয়ার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

আদেশে বলা হয়েছে, অন্য কারও নামে নিবন্ধন করা মোবাইল ফোনের সিম পুলিশ সদস্যের ব্যবহার করা অনৈতিক ও বিধিবহির্ভূত। এছাড়া ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ইমো, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার প্রভৃতি) কোনো ধরনের অ্যাকাউন্ট, পেজ, গ্রুপ খোলা ও ব্যবহার করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়া, লাইক দেওয়া বা কমেন্টস করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা বাঞ্ছনীয়।

যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত ডিভাইস বা নম্বর থেকে পুলিশের কোনো ইউনিট বা অন্য সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট, পেজ বা গ্রুপ খোলা যাবে না। এ বিষয়ে নিজ নিজ ইউনিট প্রধানদের অধীন সব কর্মকর্তা বা সদস্যকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৯’ অনুসরণ করতে হবে।

এদিকে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য জারি করা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্টস, লাইক শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনোরকম তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড করা এবং লাইক, কমেন্টস বা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

এছাড়াও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো সার্ভিস বা পেশাকে হেয়প্রতিপন্ন করে এমন কোনো পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। লিঙ্গ বৈষম্য বা এ সংক্রান্ত বিতর্কমূলক কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না। জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো বিষয় লেখা, অডিও বা ভিডিও প্রকাশ করা যাবে না। ভিত্তিহীন, অসত্য ও অশ্লীল তথ্য প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্য কোনো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য সংবলিত কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক বা শেয়ার থেকে বিরত থাকতে হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কন্টেন্ট ও বন্ধু নির্বাচনে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন এবং অপ্রয়োজনীয় ট্যাগ, রেফারেন্স বা শেয়ার করা পরিহার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপব্যবহার বা অ্যাকাউন্টে ক্ষতিকর কন্টেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন এবং সেজন্য প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’