বাউফলে হত্যা মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি
মোঃ জসীম উদ্দিন, বাউফল >> পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চাঞ্চল্যকর একটি হত্যা মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আর তাতে রাজি না হওয়ায় হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা দিয়ে হত্যা মামলার আসামিরা হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন হত্যা মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা জিএম নজরুল ইসলাম ওরফে শাহজাহান গাজী (৭০)।
নজরুল ইসলাম বলেন,পূর্ববিরোধের জেরে ২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আমার ছেলে মো. মামুন গাজীর (৩৫) মোটরসাইকেলের পথরোধ করে স্থানীয় মিরাজ খান (২৬) ও মো. মজিবরের (৬৫) নেতৃত্বে ৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনায় তিনি ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে বাদী হয়ে বাউফল থানায় মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে।
নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন,অদৃশ্য কারণে চারজন ব্যতীত বাকি সব আসামি আদালতের জামিন না নিয়েই প্রকাশ্যে ঘুরে বেরাচ্ছে। আর তাঁকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। গত সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি মো. মজিবর তাঁকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে জানতে পারি ওই ঘটনায় তাঁকে (নজরুল) ও হত্যা মামলার প্রধান তিন সাক্ষীর বিরুদ্ধে বাউফল থানায় মারধরের মামলা করেছে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। সেই স্বাধীন দেশে হয়তো ছেলে হত্যার বিচার দেখে মরতে পারবো না। তিনি ছেলে হত্যার বিচার চান ও হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে হত্যা মামলার আসামি মজিবর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।’ তিনি হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত না বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) আল মামুন বলেন,‘যেহেতু হত্যা মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে। এ বিষয়ে আমার মন্তব্য নাই। তবে মারধরের মামলায় হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষীরা জড়িত না থাকলে তাঁদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। এখানে হয়রানি করার কোনো সুযোগ নাই।’