পটুয়াখালীতে আগুনে পুড়িয়ে সাবেক স্ত্রীকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: পটুয়াখালীর দুমকিতে ঘুমন্ত অবস্থায় সাবেক স্ত্রীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মো. আবদুছ জলিলের (৩২) বিরুদ্ধে। পরে শুক্রবার (২৭ মে) সকাল ৭টার দিকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বরিশাল থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে ওই নারীর মৃত্যু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত (২৭ মে) সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের উত্তর পাঙ্গাসিয়া গ্রামের বাবার বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হন ইতি বেগম। তিনি ওই এলাকার আবদুল মান্নান খানের মেয়ে।

ঘটনার পর অভিযুক্ত মো. আবদুছ জলিল পলাতক রয়েছেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে। জলিল কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার নুর আলীর ছেলে ।

ইতি বেগমের বড়ভাই মো. ফারুক খান বলেন, আমর বোন ইতি ঢাকায় থাকতেন এবং একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। প্রায় সাত বছর আগে ঢাকায় জলিলের সঙ্গে ইতির বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে আমার বোন পাঙ্গাসিয়া গ্রামে চলে আসে। প্রথমে ভালোই চলছিল, তাদের সংসার তাদের একটি ছেলে সন্তানেরও জন্ম হয়। তবে বছর দুই আগে থেকে জলিল যৌতুকের দাবিতে ইতিকে মারধর শুরু করে। স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে ইতি গোপনে এক সপ্তাহ আগে জলিলকে তালাক দেন। জলিল তালাকের চিঠি হাতে পেয়ে ইতিকে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেয়। গত রাতে জলিল ঢাকা থেকে আমাদের বাড়িতে পৌঁছে। পরে ঘুমন্ত ইতিকে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। এ সময় আমার বাবা-মা দেখে ফেললে জলিল দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ইতিকে দ্রুত পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছেন। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পাঠায়। তবে বরিশাল থেকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে ইতির মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর আগে আমার বোন বলে গেছেন, তার গায়ে জলিল আগুন দিয়েছেন। আগুন দিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন জলিল।

দুমকি থানা পুলিশের ওসি আবদুস সালাম জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।