ভোলায় ধর্ষণের শিকার তরুণী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ভোলার দৌলতখানে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়ে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এখন বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী (১৮) ও তার পরিবার।

 

অভিযুক্ত আলমগীর উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আবু তাহের মোল্লার ছেলে। তিনি তিন সন্তানের জনক ও পেশায় জেলে। ভুক্তভোগী তরুণী জানান, অভিযুক্ত আলমগীরের ছোটভাইয়ের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বড়বোনের বিয়ে হয় সাত মাস আগে। এ সুযোগে আলমগীর তাদের ঘরে আসা-যাওয়া করত। গত ২২ ফেব্রুয়ারি তার মা ইউনিয়ন পরিষদে চাল আনতে যান। এ সময় ঘরে একাই ছিলেন তরুণী।

 

এ সুযোগে আলমগীর পেছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আলমগীর তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এদিকে এলাকায় ঘটনাটি জানাজানি হলে ভিকটিমের বড় বোনের সঙ্গে অভিযুক্ত আলমগীর তার ছোটভাইয়ের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দেয়। স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে তার বোন এখন চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করছেন।

 

ভিকটিমের মা বলেন, আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে একা পেয়ে আলমগীর পিতৃহারা মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। তার গর্ভে এখন ছয় মাসের সন্তান। তিনি তার মেয়ের গর্ভের সন্তানের পিতৃত্বের স্বীকৃতি চান। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মনজুর আলম বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে ভিকটিমের পরিবারকে ডেকে এনেছিলাম। কিন্তু তারা আমার কাছে এ ব্যাপারে কিছু প্রকাশ করেননি।

 

অভিযুক্ত জেলে আলমগীর তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে দৌলতখান থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।