বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসরাত আমান রূপাকে ফাঁসাতে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্র মেতেছে। তাদের মিশন বাস্তবায়নে মান্না পাহাড়ি নামে এক সাপুড়েকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রূপার ভাবমূর্তি পরিকল্পিতভাবে বিনষ্ট করতে ওই মহলটি মান্না পাহাড়িকে দিয়ে বরিশাল কোতয়ালী থানায় দুই মাস আগে একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করান।

সেই সাথে মিডিয়াপাড়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় একটি মোবাইল রেকডিং। ষড়যন্ত্রের বিষয়টি ফাঁস হওয়ায় সে যাত্রায় সুবিধা না করতে পেরে এবার মিশন বাস্তবায়নে নতুন পথে হাঁটছে ওই কু-চক্রি মহলটি। এক্ষেত্রে ওই সাপুড়েকে বলির পাঠা বানিয়েছে তারা।

গত সোমবার রাতে মান্না পাহাড়ির ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। আর এতে রূপাকে ফাঁসানোর ইস্যু পেয়ে যায় পর্দার আড়ালে থাকা কুশীলবরা। গুরুত্বর আহত অবস্থায় মান্না পাহাড়ি শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে কাউন্সিলর রূপা তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি-ইমেজ নষ্ট করতে মান্না পাহাড়িকে সামনে রেখে নগ্ন খেলায় মেতেছে একটি মহল।

কাউন্সিলর রূপার ভাষ্যমতে, বিগত সময়ে ওই মহলটি ষড়যন্ত্রে সফল না হয়ে এখন নতুনভাবে কৌশল নিয়েছে। যে কারণে সাপুড়ে মান্না পাহাড়িকে দিয়ে তাকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। একটি মোবাইল রেকর্ডিং ইস্যু করে মান্না পাহাড়ি থানায় একটি জিডি করেন। এরপর তাকে নগদ ২৫ হাজার টাকা দিয়ে জিডির বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। সোমবার রাতে মান্না পাহাড়ির ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।

কিন্তু হীনস্বার্থ চরিত্রার্থ করতে ওই হামলার ঘটনার সাথে যড়যন্ত্র করে আমাকে জড়ানোর চেষ্টা চলছে। ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতা নেই বলে তিনি দাবি করেন। অপরদিকে আহত মান্না পাহাড়ি অভিযোগ, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী প্রাণনাশের হুমকি দিলে তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন। ওই হুমকি দাতারাই তার ওপর হামলা চালিয়েছে।”