শিশু ধর্ষণ মামলায় সৎবাবার যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ঝিনাইদহের মহেশপুরে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে এ রায় দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান।

পাশাপাশি আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। একইসঙ্গে জেলা কালেক্টর ঝিনাইদহকে আসামির জায়গা-জমি বিক্রয় করে অর্থদণ্ডের সমপরিমাণ টাকা ট্রাইব্যুনালে জমা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া থানার বোতাগছ গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে। শিশুটি সম্পর্কে ধর্ষকের সৎমেয়ে। মামলার রায়ের বিবরণে জানা যায়, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় শিশুকন্যাকে নিয়ে দ্বিতীয় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ওই নারী। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে বাবার বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন।

প্রতিদিনের মতো সকালে হাঁটতে বের হন ওই নারী। বাড়িতে ফিরে দেখেন শিশুকন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে তার দ্বিতীয় স্বামী। পরে অন্যদের সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়।

২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে মহেশপুর থানায় বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই নারী। ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালতের বিচারক। রায়ের পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. বজলুর রশিদ বলেন, আদালত শিশুকন্যাকে ধর্ষণের দায়ে আসামিকে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এতে বাদী এবং আমরা উভয়েই খুশি। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আশরাফ জোয়াদ্দার।