তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে নিয়োগ দুর্নীতিতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ডা. মো. নিজামউদ্দিন ফারুক এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৩ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন বৈঠকে ওই মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ঘটনাকালীন সময়ে আসামি ডা. মো. নিজাম উদ্দিন ফারুক শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন পরিচালক ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যদিকে মামলার অপর আসামি হলেন হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল মিয়া।

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা য়ায়, ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১৫ ক্যাটাগারিতে ১৭২টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেয় শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই নিয়োগ পরীক্ষা শেষে একটি ক্যাটাগরির অফিস সহায়ক পদে ২০ জনকে নিয়োগ নিতে স্মারক ইস্যু করা হয়। পরবর্তীতে তারিখ ঠিক রেখে সেখান থেকে দুজনকে বাদ দিয়ে নতুন করে আরো দুজন যুক্ত করে নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়।

এছাড়া হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগে কোটা বিধি সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, নিয়োগপত্রটি টাইপ করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল জলিল, আর এতে স্বাক্ষর করেন পরিচালক নিজাম উদ্দিন ফারুক। তারা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিয়োগপত্র প্রদান করায় কমিশন মামলা অনুমোদন দেয়।

তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/২০১ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শিগগিরই মামলা করা হবে বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা।