বরিশালঃ বরিশাল নগরীর প্রাণ জেলখাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন। যার ধারাবিাহিকতায় বুধবার (০৪ মে) সকালে নগরীর কাঠের পুলসহ বিভিন্ন অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
বুধবারের অভিযানে একটি দ্বিতল বাড়িসহ তিনটি অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
এ কয়দিনের অভিযানে খালের অংশ ভরাট করে নির্মিত একটি দ্বীতল ভবনসহ অর্ধশতাধিক পাকা, আধাপাকা এবং কাঁচা স্থাপনা বুলডেজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কল্যাণ চৌধুরী জানান, জেলখালের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অংশে অবৈধ স্থাপনা নিজ উদ্যোগে অপসারণের জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ২৪ ঘন্টার সময় বেধে দিয়ে মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।’
কিন্ত এ সময়ের মধ্যে কেউ স্থাপনা অন্যত্র সরিয়ে নেননি। ফলে মঙ্গলবার থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। নগরীর প্রাণ জেল খাল উদ্ধারে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
বরিশাল নদী-খাল বাঁচাও আন্দোলন কমিটি সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু জানান, ২০০৯ সালে সিটি করপোরেশনসহ একাধিক সংস্থার যৌথ জরিপে বরিশালের প্রাণ জেল খালের ৮২ জন দখলদারের একটি তালিকা তৈরি করা হয়।
ওই তালিকায় নাজির মহল্লার অমৃত চাটনীর মালিক ও সাদা মনের মানুষ বিজয় কৃষ্ণ দেসহ ৮২ দলদারকে চিহ্নিত করা হয়েছিলো। দখলদার অবৈধভাবে জেল খালের জমি দখল করে নির্মাণ করেছে পাকা এবং আধা-পাকা স্থাপনা।
ওইসব দখলদারকে উচ্ছেদের জন্য নগরীর বিভিন্ন সংগঠন একাধিবার আন্দোলন করলেও সিটি কর্পোরেশন কোন কর্ণপাত করেনি।’
বরিশাল জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান জানান, ঐতিহ্যবাহী জেলখাল দখলমুক্ত করার জন্য ২৬ এপ্রিল থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছেন। ওইদিন জেলখালের উৎসস্থল কীর্তনখোলা নদীর মুখের ফরিয়াপট্টি এলাকায় (চালের মোকাম) থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়।
পর্যায়ক্রমে সব দখলদারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নগরীর প্রাণ ফিরিয়ে আনা হবে।’