বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দারোগারহাট জুয়ার আসর থেকে আটক ১২ জুয়ারিকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে তাদের বরিশাল আদালতে সোপর্দ করা বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ আদেশ দেন।

এর আগে গত বুধবার (১৬ আগস্ট) গভীর রাত ৩টার দিকে বরিশাল জেলা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) হুমায়ন কবিরের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের আটকে সফলতায় গোয়েন্দা পুলিশ।

ওই সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ, ১১ টি মোটরসাইকেল, ৩টি মাইক্রোবাস, ১টি প্রাইভেটকার, তিনটি মাহেন্দ্রা গাড়ি ও জুয়া খেলার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

বিকেলে তিনটার দিকে সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির বলেন, গোপন সংবাদে বুধবার রাতে বাবুগঞ্জথানাধীন দেহেরগতি ইউনিয়নের ঠাকুরজিতলা গ্রামে হারুন অর রশিদ মোল্লার জমিতে উঠানো একটি টিনের ঘরে অভিযান চালালে জুয়াড়িরা আমাদের প্রতিরোধের চেষ্টা করে।

এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। এসময় সেখানে উপস্থিত জুয়াড়িরা পালানোর চেষ্টা করলে সেখান থেকে ১২ জনকে আটক করা হয়।

আটকরা হলেন, শহীদুল ইসলাম মুন্না, বিজয় মূধক, বাদল হাওলাদার, মীর কামরুজ্জামান পিকিং, ইব্রাহীম ফকির, রাজীব হাওলাদার, শেখ দিদারুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, সাইফুর রহমান, বিধান মন্ডল, গৌতম রায় ও দুলাল হাওলাদার।

ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, তাদের আটকের পাশাপাশি অভিযানে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৭৫ টাকা, ১টি নাম্বারিং করা রেকসিনের ফর্দি, ওয়ান থ্রি নাম্বারিং করা একটি কাঠের বোর্ড, ২টি স্টিলের গালা বক্স, ১৪টি কাটার পিন, ছোট স্টিলের ট্রাংক একটি, ৬টি মোমবাতি, গোলাপ জল ১০টি, সার্কাসের কুপন বহি ৩টি, দিয়াসলাই বাক্স ১২টি, বেনসন সিগারেট ২ প্যাকেট, গোল্ডলিফ সিগারেট ২ প্যাকেট, স্থানীয় একটি পত্রিকার প্রেস লেখা কার্ড একটি, বাঁশের তৈরি বোর্ড স্ট্যান্ড একটি, স্টিলের স্কেল ১টি, দেনা-পাওনা হিসেবের খাতা ৩২ পাতা, রেইন কোট ১টি, ১টি জেনারেটর মেশিন, আটকদের ব্যবহৃত তিনটি মাইক্রোবাস, ২টি মাহিন্দ্র গাড়ি এবং বিভিন্ন কোম্পানির ১১টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

আটক ১২ জন ছাড়াও ২১ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।

ওয়ান টেন নামক এ জুয়া খেলা খেলতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আটকরা অংশগ্রহণ করত বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

ওই সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন ও মফিজুল ইসলাম প্রমুখ।”

আটক ১২ জন ছাড়াও ২১ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।