বাউফলে চেতনানাশক খাইয়ে অর্থসহ স্বর্ণালঙ্কার লুট

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:: পটুয়াখালীর বাউফলে চেতনানাশক প্রয়োগ করে অর্থসহ স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের গুলবাগ গ্রামের ফরাজি বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা গেছে, উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের গুলবাগ ফরাজি বাড়ির দুটি ঘরে দুর্বৃত্তরা চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে ৪ মহিলা ও ১ জন পুরুষসহ ৫ জনকে অচেতন করে নগদ টাকাসহ ৭-৮ ভড়ি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। প্রতিদিনের মতো ওই ঘরের লোকজন ঘুমথেকে না উঠায় বাড়ির অন্য ঘরের লোকজন ডাকাডাকি করলে তাদের কোন সাড়া না পাওয়ায় পিছনের দরজা খোলা দেখে ঘরে ঢুকে আলমিরার মালামাল ফ্লোরে ছড়ানো ছিটানো পরে আছে এবং লোকজন অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পরে বাড়ির প্রভাষক জুয়েল ফরাজীর সহায়তায় সকলকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

গৃহিণী মোসা. দিলরুবা ইয়াসমিন জানান, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তারা নৈশভোজ সেরে  ঘুমিয়ে পরেন। এর পরের দিন (শুক্রবার ২৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় তার ঘুম ভাঙলে নিজেকে হাসপাতালে  দেখতে পান। অন্য ৪ জন তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন।

বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে বা চেতনানাশক স্প্রে ছিটিয়ে তাদেরকে অচেতন করা হয়েছে।’

এদের মধ্যে বজলুর রহমান ফরাজী (৭৬), হাবিবা আক্তার (১৫) ও মিনারা বেগমকে (৫৩) বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। দিলরুবা ইয়াসমিন  (৪০) ও মেহেরুননেছা (৬০) বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন,‘খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’