বরিশালে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী চিকিৎসকদের শাস্তি দাবি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী নিবাসে দুই শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাতজন সাংবাদিক হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ‘নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিল, বরিশাল। হামলার সাথে জড়িত দুই শিক্ষকসহ সকলকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করার দাবি রেখেছে সংগঠনটি। রোববার ‘নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিল, বরিশাল’র সভাপতি হাসিবুল ইসলাম এবং খন্দকার রাকিব স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী বুধবার (২৩ আগস্ট) রাতে নির্যাতনের শিকার হন দুই ছাত্রী। শনিবার নির্যাতিত দুই ছাত্রীর জবানবন্দি নিচ্ছিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ সময় বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক নির্যাতিত ছাত্রী ও তাদের মায়ের সেই বক্তব্যের ধারন করতে আগ্রহী হন। তখন কয়েকজন শিক্ষক সন্ত্রাসী কায়দায় তাদের ওপর হামলে পড়াসহ সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন। সেই সাথে টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাও ভাঙচুর করেন হামলাকারীরা।

লাঞ্ছিত সাংবাদিকেরা হচ্ছেন, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের কাওসার হোসেন রানা ও রুহুল আমিন, এশিয়ান টিভির ফিরোজ মোস্তফা ও আজিম, সময় টিভির শাকিল মাহমুদ ও সুমন হাসান এবং বাংলা নিউজের মুশফিক সৌরভ।

সংগঠনটির নেতারা বলেন, মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষকতা যারা করেন, তারা চিকিৎসার মতো মহান ও মানবিক পেশায় নিয়োজিত। তাদের কাছে থেকে মানুষ মানবিকতা, ধৈর্য ও সংযম প্রত্যাশ করেন। এছাড়া সাংবাদিক ও চিকৎসকরা বরাবরই একে অপরের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সংবাদকর্মীদের সাথে দু’জন শিক্ষক যে আচরণ করেছেন তা দেখে আমরা হকবাক-বাকরুদ্ধ। সেই লোমহর্ষক হামলার ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দুই চিকিৎসকের মারমুখি আচরণ দেখে নেটিজেনরা তাদের চিকিৎসক নামে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েছেন, করছেন বিষাদগারও।

নেতারা আরও বলেন, কাউকে শারীরিকভাবে আঘাত করা এবং পেশাগত কাজে বাধা দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ। এ অপরাধে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।’