বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) রোগীর এক স্বজনকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আটককৃত সোহেল নামের ওই যুবককে সোমবার দুপুরে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এর আগে বেলা ১১ টার দিকে হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের ইউনিট-১ এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের স্বীকার সোহেল খান (৩২) ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার নলবুনিয়া এলাকার শায়েস্তা খানের ছেলে।

তিনি জানান, স্ট্রোকজনিত কারণে গত ১১ নভেম্বর তার মা মিনারা বেগমকে (৬০) শেবাচিম হাসপাতালের চতুর্থ তলায় মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের ইউনিট-১ এর আওতায় ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে তার মায়ের নাম ২ দিন পূর্বে কেটে দেয়া হলেও কোন ছারপত্র না পাওয়ায় সকালে সেবিকাদের কক্ষে তিনি যোগাযোগ করেন। তাদের পরামর্শে চিকিৎসকদের কাছে গেলে ইন্টার্নরা ক্ষিপ্ত হয়ে গালমন্দ শুরু করেন। এর প্রতিবাদ করায় ইন্টার্নরা কক্ষের দরজা আটকে বেদম মারধর করে। পরে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ইন্টার্ন ডক্টরস্ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ নাহিদ জানান, মেডিসিন-১ ইউনিটে চিকিৎসকদের লাঞ্ছিত ও মারধর করতে গেলে এক যুবককে ধরে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে কলেজে কাজ থাকায় ঘটনার সময় তিনি সেখানে যেতে পারেননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার (উপ-পরিদর্শক) সত্যরঞ্জন খাসকেল জানান, উভয় পক্ষকেই অভিযোগ দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কোন পক্ষই অভিযোগ না দেয়ায় দুপুরের পরে আটক সোহেলকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।