নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: ১৯৬২ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন উপমহাদেশের অবিসংবাদিত রাজনীতিবিদ এ কে ফজলুল হক। তিনি ‘শেরেবাংলা’ ও ‘হক সাহেব’ নামেও পরিচিত। ১৮৭৩ সালের ১৬ অক্টোবর মামাবাড়ি বরিশালের রাজাপুরের সাটুরিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস একই জেলার চাখার গ্রামে।

তিনি বরিশাল জিলা স্কুল থেকে বৃত্তিসহ এন্ট্রান্স, কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফএ ও বিএ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতশাস্ত্রে এমএ পাস করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কলেজ থেকে বিএল ডিগ্রি নিয়ে তিনি আশুতোষ মুখার্জির শিক্ষানবিশ হিসেবে আইন পেশা শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি বরিশাল আদালতে যোগ দেন এবং মিউনিসিপ্যালিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯০৬ সালে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে যোগ দিলেও ১৯১১ সালে ফের কলকাতা হাইকোর্টে চলে আসেন।

১৯১৩ সালে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন। একই বছর বঙ্গীয় মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নিখিল ভারত মুসলিম লীগের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৩০-৩১ সালে লন্ডনে গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেন তিনি। মুসলিম লীগ ও কৃষক প্রজা পার্টির জোট সরকার গঠিত হলে তিনি অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হন। বাংলার গভর্নরের সঙ্গে শাসনতান্ত্রিক মতভেদ দেখা দিলে ১৯৪৩ সালে পদত্যাগ করেন।

১৯৫৬ সালে ফজলুল হক পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর নিযুক্ত হন। বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, অসাম্প্রদায়িক এই রাজনীতিবিদ সবসময় কৃষকদের নিয়ে ভাবতেন। তাকে পাকিস্তান সরকার কর্র্তৃক ‘হিলাল-ই-পাকিস্তান’ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব ল’ ডিগ্রি দেওয়া হয়।’