নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় অপহরণের অভিযোগে উপজেলার ৯ নম্বর সাপলেজা ইউপি চেয়ারম্যান মো: মিরাজ হোসেনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: রফিকুল ইসলাম বাবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে ভুক্তভোগী মো: আল আমিন সুমন (৩০) সোমবার মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ মামলাটি করেন। বিচরকি হাকিম মো: আতিকুজ্জামান মামলাটি আমলে নিয়ে পিরোজপুর সিআইডি-কে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ভুক্তভোগী সুমন ওই ইউনিয়নের চড়কগাছিয়া গ্রামের মো: এমাদুল হকের ছেলে। অন্য আসামিরা একই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুমনকে চরকগাছিয়া গ্রামের নব উদ্বোধনী আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে থেকে আট-১০ জনের একটি দল জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজ হোসেনের কাছে।

এ সময় মিরাজ হোসেন সুমনকে গালমন্দ দেয়ার পাশাপশি হত্যা করার হুমকি দিয়ে তাকে আটক রাখার নির্দেশ দেয়। পরে চেয়ারম্যানের ওই সহযোগিরা সুমনের চোখ বেঁধে মারধার করে মোটরসাইকেলে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে একটি ঘরে আটক রাখে। বিষয়টি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ও সুমনের স্বজনরা খোঁজ করতে মরিয়া হয়ে উঠে।

মামলায় সুমন আরো উল্লেখ করেন পুলিশের তৎপরতার কারণে তাকে হত্যা না করে গত ২৭ এপ্রিল শনিরার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চোঁখ বাধা অবস্থায় ডা. রুস্তম আলী ফরাজী কলেজের কাছাকাছি প্রধান সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়।

এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ অজ্ঞাত কারনে মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। এ ব্যাপারে ৯ নম্বর সাপলেজা ইউপি চেয়ারম্যান মো: মিরাজ হোসেন বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।