নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ভোলায় দেড় হাজার টাকার কমে মিলছে না ইলিশ। জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে দাম বেশি হওয়ায় ইলিশ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সকালে ভোলার বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশসহ সবধরনের মাছ শিকারে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা ছিল। যার কারণে হাট-বাজারে দেখা মিলেনি ইলিশের। ইচ্ছে থাকলেও কোনো ক্রেতা কিনতে পারেনি ইলিশ। ১ মে থেকে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে জেলেরা হয়েছেন নদীমুখি। দল বেঁধে শুরু করেছেন ইলিশ শিকার।

শহরের কিচেন মার্কেটের ইলিশ কিনতে আসা ক্রেতা মো. তারেক জানান, দীর্ঘদিন পর শুক্রবার বন্ধের দিনে শহরের কিচেন মার্কেটে ইলিশ কিনতে এসেছি। কম ব্যবসায়ী ইলিশ বিক্রি করতে নিয়েছেন। কিন্তু ছোট ও বড় সাইজের ইলিশের দাম দেখে অবাক তারা। এক কেজি সাইজের ইলিশের হালি ৮-৯ হাজার টাকা দাবি করেন বিক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমত দাম হাঁকিয়ে রাখায় ইলিশ না কিনেই অন্য মাছ কিনে বাড়ি ফিরেন তারা।

একই মার্কেটে ইলিশ কিনতে আসা মো. সোলেমান জানান, বাড়ির জন্য ইলিশ কিনতে ওই মার্কেটে যাই। বেশি দামের কারণে তার সামর্থ্যের বাহিরে দাবি করে ইলিশ ক্রয় করতে পারিনি। তিনি আরও জানান, ইলিশ নদীতে থাকে। এটি কারও চাষ করতে হয় না। তারপরও বাজারে ইলিশের অতিরিক্ত দাম আমাদের মত সাধারণ ক্রেতাদের মেনে নেওয়ার মত না। ওই মার্কেটের ইলিশ বিক্রেতা মো. জয়নাল হোসেন জানান, জেলেরা বর্তমানে ইলিশ কম পাচ্ছেন।

তাই মৎস্যঘাটে ইলিশের তেমন সরবরাহ নেই। আমরা বাজারের খুচরা বিক্রেতারা খুব সকাল থেকে ঘাটে গিয়ে বসে থাকি। জেলেরা নদী থেকে ইলিশ নিয়ে আড়তদারের মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করতে শুরু করলেও আমরা বিক্রেতারা প্রতিযোগিতা করে দাম হাঁকিয়ে ইলিশ ক্রয় করি।

ব্যবসায়ীরা জানান, খুচরা বাজারে ৪০০ গ্রামের ইলিশের হালি বিক্রি করছি ১৫০০-১৬০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের হালি দুই হাজার থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা, ৭০০-৯০০ গ্রামের ওজনের ইলিশের হালি ৪০০-৬০০ হাজার ও এক কেজি থেকে তার একটু বেশি ওজনের ইলিশের হালি ৮-৯ হাজার বিক্রি করে থাকি। তাদের কেনা বেশি হওয়ায় বেশি দামে বিক্রি করেন বলে দাবি করেন তারা।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দে জানান, জেলেদের জালে ইলিশ কম ধরা পড়ে। যার কারণে চাহিদার চেয়ে ইলিশ কম। এজন্য দাম একটু বেশি রয়েছে। তবে আগামী সাতদিন পর আমাবস্যা, ওই সময় বৃষ্টিপাত হলে ইলিশের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।