বাগেরহাটে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য হেপী বড়ালের মেয়েকে কুপিয়ে জখম করছে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি। শনিবার সন্ধ্যায় শহরের কে আলী রোডের আমলাপাড়া বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান।

আহত অদিতি বড়ালকে (২৭) বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি ঢাকার ‘লন্ডন কলেজ অব স্ট্যাডিজে’ আইনে স্নাতকোত্তর করছেন।

হেপী বড়াল সংরক্ষিত নারী আসন-১১ (বাগেরহাট) থেকে চলতি মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাগেরহাট শহরের শালতলায় তার বাড়ি।

অদিতি বড়াল বলেন, “আমলাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আমি মায়ের সঙ্গে বিজয় দিবসের নারী সমাবেশে যোগ দিই। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগে আমি মাকে বলে বাড়ির পথে রওনা হই। এসময় অপরিচিত এক ব্যক্তি আমার পরিচয় জানতে চান। পরিচয় বলতে না বলতেই তিনি ছুরি বের করে আমার পেটে আঘাত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।”

তার বাবার খুনিরা এ হামলায় জড়িত বলে অভিযোগ অদিতির।

অদিতির বাবা কালিদাস বড়াল ২০০০ সালের ২০ অগাস্ট বাগেরহাটে গুলিতে নিহত হন।

বাগেরহাট সিভিল সার্জন অরুণ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, অদিতির পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।

সংসদ সদস্য হেপী বড়াল বলেন, “আমার স্বামী কালিদাস বড়ালের হত্যাকারীদের বিচার হওয়ায় আসামিরা ক্ষুদ্ধ। তারা আমাদের হত্যার পরিকল্পনা করে আসছে।

“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। আমি সাংসদ হওয়ায় দলের অনেকেই তা ভালভাবে নিতে পারেনি। এ কারণে আমার মেয়ের উপর হামলা হয়ে থাকতে পারে।”

পুলিশ সুপার বলেন, সাংসদ সদস্য হেপী বড়ালের মেয়ের হামলাকারীকে চিহ্নিত করতে পুলিশের একাধিক দল কাজ শুরু করছে। এ ঘটনার সাংসদের পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।