বরিশাল শহরের বৌদ্ধপাড়া এলাকার ব্যবসায়ি আব্দুল্লাহ আল আজাদকে অপহরণের পরে খুন করা হয়েছে। শহরের নথুল্লাবাদ থেকে তাকে তুলে নিয়ে চেতনানাশক খাইয়ে অচেতন করে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে রুপাতলী এলাকায় একটি বাসায় ড্রামের ভেতরে ঢুকিয়ে মাহেদ্রযোগে নিয়ে যাওয়া বাবুগঞ্জ। সেখানকার বাহেরচর নামক এলাকায় ড্রামভর্তি লাশটি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। বরিশাল বিমানবন্দর থানা পুলিশ ব্যবসায়ির খুনি মেহেদী হাসান রনিকে বৃহস্পতিবার (০৫ এপ্রিল) গ্রেপ্তার করেছে।

পরে সে পুলিশের কাছে এমটাই স্বীকারোক্তি দিয়েছে। গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান রনি বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচর গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বরিশাল মেট্রোপলিট বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আব্দুর রহমান মুকুল জানিয়েছেন- গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শহরের বৌদ্ধপাড়া এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ি আব্দুল্লাহ আল আজাদ নথুল্লাবাদ এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। ওই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্বজনেরা। সেই ঘটনায় তদন্ত করে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সিম খুনি মেহেদী হাসান রনি বসতঘরের মাইক্রো ওভেনের মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই সময় তাকে গ্রেপ্তারের পরে পুরো ঘটনা প্রকাশ হয়ে যায়।

অভিযুক্তের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে- আব্দুল্লাহ আল আজাদকে অপহরণের পরে তার স্ত্রীর কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু অপরদিকে আব্দুল্লাহ আল আজাদকে খুন করে মেহেদী হাসান রনি লাশটি রুপাতলী এলাকায় তার ভাড়াটিয়া বাসায় ড্রামের ভেতরে লুকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে লাশটি মাহেন্দ্রযোগে বাবুগঞ্জ নিয়ে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।

ওই লাশটি ২১ ফেব্রুয়ারি বাবুগঞ্জে বাহেরচর নদীর পাড় থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে সেটি বেওয়ারিশ হিসেবে মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।’’