বরিশালে অপসাংবাদিকতা ক্রমশই যে বাড়ছে তাতে খোদ জেলা প্রশাসনকেও ভাবিয়ে তুলেছে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত যানবাহনে প্রেস লেখা শব্দটি ব্যবহারের ছড়াছড়ি প্রশাসনকে অবাক করে দিয়েছে। তাছাড়া তথাকথিত কতিপয় নামধারী ব্যক্তিরা নিজেদেরকে প্রশাসনিক মহলে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে চলছে। যেই বিষয়টি স্ব স্ব দপ্তরের কার্যক্রমেও প্রভাব ফেলছে। তবে এবার সেই অপসাংবাদিকদের রোধে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল জেলা প্রশাসক।

স্থানীয় পত্রিকার বার্তা সম্পাদকদের সমন্বয়ে গঠিত নিউজ এডিটরস কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দের সাথে বৃহস্পতিবার আলোচনার একপর্যায়ে জেলা প্রশাসক এই ঘোষণা দিলেন। জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে ওই দিন বেলা ১১ টার দিকে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান অপসাংবাদিকতার বিভিন্ন কুফল তুলে ধরে পেশাদারদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সাথে বরিশালের সাংবাদিকদের কর্মক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন- খুব শিগগিরই অপসাংবাদিকতা রোধে জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নেবেন। বরিশালের সাংবাদিক নেতা ও পত্রিকা মালিকদের সাথে আলোচনা করে এই হলুদ সাংবাদিকতা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ রাখবেন।

এছাড়া আগামী দিনগুলোতে পত্রিকার ছাড়পত্র দেয়ার আগে কাকে দেওয়া হচ্ছে বা কে নিচ্ছেন সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন। এছাড়া বরিশালে নিয়ন্ত্রণহীন অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোকেও একটি নীতিমালার আওতায় নিয়ে আসতে সরকারের উচ্চপর্যায়ে সুপারিশ রাখা হয়েছে। এই বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা গেলে বরিশালে অপসাংবাদিকতা রোধ করা সম্ভব হবে।

ওই আলোচনা সভায় অংশ নেন অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবুল কালাম আজাদ, নিউজ এডিটরস কাউন্সিল বরিশালের সভাপতি হাসিবুল ইসলাম, সহ-সভাপতি এমকে রানা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার রাকিব, কোষাধ্যক্ষ রিপন হাওলাদার ও দপ্তর সম্পাদক তানভীর হোসেন আকিব। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সদস্য হুমায়ূন কবির রোকন, আরিফ হোসেন ও রিয়াজ পাটোয়ারি, শহীদ আ: রব সেরনিয়াবাদ বরিশাল প্রেসক্লাবের সদস্য নাসিমুল হক, মজিবর রহমান নাহিদ, এইচ.এম হেলাল, আল আমিন গাজী, ইমরান হোসেনসহ আরও অনেক সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।