বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বরিশাল নগরের বান্দরোডের হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ ময়দানে বিভাগীয় সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি।

শুক্রবার (০৬ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন।

বরিশাল মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউদ্দিন সিকদার জানান- আগামী ৭ এপ্রিল বরিশালের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর রাতেই নগরের সদর রোডের বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে সমাবেশস্থল (কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান) পরিদর্শনে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরো জানান, মিথ্যে মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু সমাবেশকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই আমাদের বেশ কিছু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে, কিন্তু তাতে কিছুই হবে না।

অনুমতির বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) গোলাম রউফ খান সাংবাদিকদের জানান, শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সমাবেশ করতে চেয়েছে বিএনপি। তাদের সেখানে সমাবেশ করতে বলা হয়েছে।

নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলারোধে পুলিশের প্রস্তুতি রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যা যা করণীয় সবই করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএপির সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন জানান, ৭ এপ্রিল বিভাগীয় সমাবেশের অনুমতি এবং সহযোগিতা চেয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে গত ১৪ মার্চ আবেদন করা হয়েছিলো। প্রথম থেকেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছিলেন তারা।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকে বরিশালে এসেছেন। এছাড়া বাকিরা শনিবার সকালে পৌঁছাবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।

এছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর (বীর-উত্তম), সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সমেবেশে উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে, জেলা বিএনপির নেতারা দাবি করেছেন সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতেই পুলিশ তাদের একাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করছে।

বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার দাবি অস্বীকার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার সত্যরঞ্জন খাসকেল জানান, পুলিশ অনর্থক কাউকে হয়রানি বা গ্রেফতার করে নি। যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (০৫ এপ্রিল) দুইজন এবং শুক্রবার ২০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফয়সাল আজিজ, বিএনপি নেতা জুলহাস উদ্দীন মাসুদ, গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য ইয়াছিন আরাফাত মিন্টুসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।