বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশলী আনিচুজ্জামানের সাথে ঠিকাদার যুবদল নেতা মোমেন শিকদারের হাতাহাতির ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে বিসিসি ঠিকাদার এসোসিয়েশন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সংগঠনটি জরুরী সভা করে পুরো বিষয়টি তদন্তের জন্য মেয়র আহসান হাবীব কামালকে স্মারকলিপি দিয়েছে। সেই সাথে ঠিকাদার মোমেন ও প্রকৌশলী অনিচুজ্জামানের হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনাকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছে। পাশাপাশি প্রকৌশলী আনিচকে ঘুষখোর কর্মকর্তা হিসেবে আখ্যায়িত করে তার শাস্তির দাবিতে ৭২ ঘন্টা অর্থাৎ ৩ দিনের সময় বেধে দেওয়া হয়।

নতুবা আল্টিমেটামের শেষে বরিশাল শহরের চলমান উন্নয়নমুলক সকল কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ঠিকাদার এসোসিয়েশন। ওই স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়-প্রকৌশলী আনিচুজ্জামান দীর্ঘদিন যাবৎ ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিভিন্ন কাজের পার্সেন্টিস গ্রহণ করে আসছেন। যার ধারাবাহিকতায় শহরের কাউনিয়া ও করিম কুটির এলাকায় সেবক কলোনীর উন্নয়ন কাজেও নানা অজুহাত তুলে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। মুলত এই বিষয়টির প্রতিবাদ জানালে মেসার্স মিতুসি এন্টারপ্রাইজের মালিক মোমেন শিকদারের উপরে চড়াও হন প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাকে মারধর করতেও এগিয়ে আসেন।

কিন্তু পুরো বিষয়টিকে আড়াল করতে উল্টো ঠিকাদার মোমেন শিকাদারের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলা হয়। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওই স্মারকলিপিতে ঠিকাদাররা আরও উল্লেখ করেন প্রকৌশলী আনিচ তাদের চলমান কাজগুলোর নানা ত্রুটির অজুহাত তুলে প্রত্যেকের কাছে টাকা দাবি করেন। ফলে পুরো সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার ওপরে ক্ষুব্ধ। এদিকে সোমবার ওই মারামারির ঘটনায় বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন প্রকৌশলী আনিচ। এছাড়া ওই ঘটনাকে হামলা দাবি করে বিসিসি’র কর্মচারীরা ঠিকাদারের শাস্তির দাবি করে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

এমতাবস্থায় মেয়র আহসান হাবিব কামালের ভাষ্য হচ্ছে- ঘটনার দিন তিনি রাজধানীতে অবস্থান করছিলেন। গতকাল বরিশালে ফিরে পুরো বিষয়টি শুনেছেন। তবে তদন্ত না করে কারও দোষ ত্রুটি বলা যাচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি। এই ঘটনায় নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩৬ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।