পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় গোলাম মোস্তফা (৫৮) নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩০ এপ্রিল) সকালে উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের নলী চান্দখালী গ্রাম থেকে ওই শিক্ষকের বসতঘরের আড়ার সাথে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি অজ্ঞাত কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

নিহত শিক্ষক গোলাম মোস্তফা চান্দুখালী গ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে এবং তিন ছেলে সন্তানের জনক। তিনি মঠবাড়িয়ার ৯৮ নম্বর চান্দখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। দুই বছর পরে তার চাকুরিতে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।

থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক গোলাম মোস্তফার তিন ছেলে সকলেই ঢাকায় চাকুরি করেন। সে তার স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। রোববার রাতে তারা খাবার সেরে ঘরের দোতলায় ঘুমিয়ে পড়েন।

সোমবার ভোররাতে স্ত্রী হাওয়া বেগম ঘরের দোতলা থেকে নিচে নেমে ফজরের নামাজ পড়েন। নামাজ শেষে দোতলায় উঠে ঘরের আড়ার সাথে স্বামীর লাশ ঝুলতে দেখেন। এসময় তিনি ডাক-চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়।

পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত স্কুল শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করে।

মঠবাড়িয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মাজাহার আমিন(বিপিএম) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বরিশালটাইমসকে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে । ওই শিক্ষকের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা যায়নি । তবে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’