বরিশাল নগরীতে আলমগীর খান নামে এক যুবলীগ নেতা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। এলোপাতারি ধারালো অস্ত্রের কোপে তার হাতের রগ কেটে গেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই যুবলীগ নেতা বরিশাল শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

তার ওপরে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০ এপ্রিল রাত ১১ টার দিকে শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউনিয়া বিসিক শিল্প নগরী এলাকায়। এই হামলার ঘটনায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সৈয়দ সাইদুল হাসান মামুনসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে কাউনিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।

কাউনিয়া থানার ওসি নুরুল ইসলাম এজাহারের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন- গত সোমবার যুবলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে ওই এলাকার বিএনপি নেতা কোটনসহ বেশ কয়েকজন। ওই সময় যুবলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি এলোপাতারি কুপিয়ে তাকে জখম করা হয়। এই হামলায় কাউন্সিলর মামুন, মন্টু ও কোটনের বাবাও অংশ নেন। হামলাকারীদের এলোপাতারি কোপে যুবলীগ নেতা আলমগীর খানের হাতের রগ কেটে গেছে।

হামলার শিকার আলমগীর খান জানিয়েছেন- বিএনপি নেতা কোটন দীর্ঘদিন যাবৎ তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসাছিলেন। সেই টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা চালানো হয়। হামলার প্রাক্কালে যুবলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আলিপ টেলিকম থেকে ৩৯ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তবে এই হামলার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতা কোটন।

তার দাবি এজাহারে ঘটনার সময় রাত বলা হয়েছে। কিন্তু ওই দিন রাতে তিনি আগৈলঝাড়ায় অবস্থান করছিলেন। এমতাবস্থায় কাউনিয়া থানা পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে কাছ করছে বলে জানিয়েছে। তবে ঘটনার পর ৩ দিন অতিবাহিত হলেও বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা পর্যন্ত কোন অভিযুক্তকে আটকে সফলতার খবর দিতে পারেনি পুলিশ।