বরিশালের উজিরপুরে শিকারপুর বন্দরের ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির কালু মুন্সী হত্যার ১৮ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত কোন রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার করতে না পারায় নিরাপত্তাহীনতা ও উৎকণ্ঠায় ভুগছেন এ হত্যা মামলার বাদী ও স্বজনরা।

হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করলেও কোনও মোটিভ পায়নি পুলিশ। তবে এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ তিন জনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। তারা হলেন- উপজেলার মুন্ডপাশা গ্রামের মো: দেলোয়ার শরীফ (৪৫), ফরিদ মল্লিক (৩৫) ও নাসির তালুকদার (৪০)।

ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির মুন্সীর সেঝো ভাই ও মামলার বাদী মো. হেমায়েত হোসেন মুন্সী বলেন, ঘটনার ১২ দিনেও হত্যাকারীদের শনাক্ত বা গ্রেফতার করতে না পারায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই যত দ্রুত সম্ভব খুনিদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

শিকারপুর বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক শফিকুল আলম করিম খান বলেন, ব্যবসায়ী হুমায়ুনের খুনিদের বিচারের দাবিতে শিকারপুর এখনও উত্তাল। কিন্তু খুনিদের ধরতে না পারা খুবই কষ্টজনক বিষয়।

স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, এ হত্যাকান্ডের ঘটনার পর থেকে শিকারপুর বাজারে লোকজনের আনাগোনা কমেছে। ফলে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বেচাকেনাও অনেকটা কমেছে।

এদিকে ব্যবসায়ী হুমায়ুনের প্রকৃত হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উজিরপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, ব্যবসায়ী হুমায়ুন হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্নভাবে তদন্ত চলছে। খুনের রহস্য উদঘাটনে অগ্রগতিও হয়েছে। খুব শীঘ্রই এ হত্যাকান্ডের রহস্য বের করে প্রকৃত অপরাধীদের প্রেপ্তার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এ মামলায় যাতে কাউকে হয়রানি, আটক বা গ্রেফতার করা না হয় সে বিষয়েও পুলিশ সচেতন আছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (৯ মে) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার শিকারপুর বন্দরের উত্তরে পূর্ব জয়শ্রী গ্রামের পেশকার বাড়ী সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর তীর থেকে ব্যবসায়ী হুমায়ুনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় গত ১০ মে দুপুরে নিহত হুমায়ুনের সেঝো ভাই শিকারপুর বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. হেমায়েত মুন্সী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে উজিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ এ পর্যন্ত হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে তিন জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।