আফগানিস্তানের সঙ্গে ১ রানের ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়শের লজ্জাও পেল বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৫ এবং দ্বিতীয়টিতে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে পরাজিত হয়। বরাবরের মতো আজকেও ডেথ ওভারে গিয়ে টাইগারদের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। অথচ ১৯তম ওভারে মুশফিক টানা ৫টি চার মেরে বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন।

সিরিজের তৃতীয়ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১৪৬ রানের টার্গেট দেয় আফগানিস্তান। এর আগে টসে জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠান আফগান অধিনায়ক আসগর স্তানিকজাই। আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান।

এছাড়া ওপেনিংয়ে নামা শাহজাদ ২৬, উসমান গাণি ১৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। টপ অর্ডারে নামা আসগরের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। তবে মোহাম্মদ নবী ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই তাকে মাত্র তিন রানে সাজ ঘরে পাঠান আবু জায়েদ। ছয়ে নামা নাজিবুল্লাহ জাদরান আউট হন ১৫ বলে ১৫ রান করে।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ দল। নাজমুল ইসলাম অপুর বোলিংয়ে ওপেনিংয়ে নামা শাহজাদ লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন। পরের ওভারের পঞ্চম বলে আবার আবু জায়েদের আক্রমণে দ্বিতীয় উইকেট হারায় আফগানরা। তারপর আবারও জায়েদ আক্রমণ করেন আফগান শিবিরে।    উসমান গনিকে উইকেটের পেছেনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন আবু জায়েদ।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ ও নাজমুল ইসলাম। এছাড়া আরিফুল ও সাকিব নেন একটি করে উইকেট। টাইগারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন মেহেদি মিরাজ। তার করা দুই ওভার থেকে আসে ২৭ রান। তবে সবচেয়ে কৃপণ ছিলেন সাকিব। তার চার ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।

এদিন প্রথম ওভারে মেহেদি মিরাজকে বল দিয়েছিলেন সাকিব। তবে নিজের নামের পাশে সুবিচার করতে পারেননি বাংলাদেশি এ স্পিনার। নিয়মিত বিরতিতে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছিলেন শাহজাদ-গনি।

বৃহস্পতিবার দেরাদুনের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশে সময় রাত সাড়ে ৮টায় ম্যাচটি শুরু হয়। দলে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামেন সাকিব আল হাসান। সাব্বির, মোসাদ্দেক ও রুবেলের জায়গায় দলে আসেন আরিফুল, মিরাজ ও আবু জায়েদ। আফগানদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ হেরে সিরিজ খোয়ায়।