জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে। সোমবারের উদ্ধার অভিযানে আরও বেশ কয়েকজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে একটানা প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। রোববারও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী কয়েক দিন এ অবস্থা বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে গেছে। ফলে বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ২০ লাখ মানুষকে নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

আবহাওয়া কর্মকর্তারা বলেন, এর আগে আমরা কখনও এমন বৃষ্টিপাত দেখিনি। বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের কারণে মারা যাওয়া লোকজনের অধিকাংশই হিরোসিমার নাগরিক।

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। আবার অনেকেরই জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।

মিহারা শহরে শনিবার থেকে বাড়িতে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে ইয়োমেকু মাতসুই নামের এক বাসিন্দার। তিনি বলেন, আমরা গোসল করতে পারছি না। টয়লেটও কাজ করছে না। আর খাবারও শেষ হয়ে আসছে।

২৩ বছর বয়সী নার্সারি স্কুলের এই কর্মী জরুরি পানি সরবরাহ স্টেশনকে জানিয়েছেন, বিভিন্ন স্টোর এবং দোকান থেকে তারা বোতলজাত পানি এবং চা সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু সব কিছুই শেষের দিকে।

বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো বলছে, সোমবার প্রায় ১২ হাজার ৭শ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। জাপানের গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, কয়েক হাজার মানুষ পানির অভাবে দিন কাটাচ্ছে।