ক্রিকেট মাঠে সময়ের ব্যবহারের ক্ষেত্রে বরাবরই সচেতন আইসিসি। তিন ফরম্যাটেই প্রতিটি ইনিংসের জন্য বেঁধে দেয়া হয় নির্দিষ্ট একটি সময়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ওভার বোলিং করতে না পারলে জরিমানা ও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হয় বোলিং দলের অধিনায়ক ও খেলোয়াড়দের।

কিন্তু এই শাস্তির আওতায় থামানো যাচ্ছে না ‘স্লো ওভার রেট’ এর অপরাধ। বরং আইসিসির বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদন জানাচ্ছে যে গত ১২ মাসে স্লো ওভার রেটের হার টেস্ট ক্রিকেটে গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এতো বেশি স্লো ওভার রেট আগে কখনো হয়নি।

তাই সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রিকি পন্টিং, ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি, শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারাদের নিয়ে গড়া আইসিসির বিশেষজ্ঞ কমিটি এই স্লো ওভার রেটের সমস্যা রুখতে পরামর্শ দিয়েছে নতুন এক পন্থার। যাকে তারা নাম দিয়েছে ‘শট ক্লক’ নামে।

আইসিসির বর্তমান নিয়মানুযায়ী কোন দল যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুই ওভারের কম পিছিয়ে থাকে তবে সেটি হালকা অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। অন্যদিকে টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুই ওভারের বেশি পিছিয়ে থাকলে গুরুতর অপরাধ হিসেবে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

কিন্তু এতে করেও থামানো যাচ্ছে না সময়ের অপচয়। তাই শট ক্লক নিয়মের আওতায় দুই ওভারের মধ্যবর্তী সময়, ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পরে নতুন ব্যাটসম্যান আসা পর্যন্ত সময়, খেলার মাঝে আরো অন্যান্য আনুষঙ্গিক সময়গুলো হিসেব রাখা হবে। তা যদি আইসিসির বেঁধে দেয়া সময়ের চেয়ে বেশি হয় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত দলকে নির্দিষ্টসংখ্যক রান জরিমানা করা হবে।

স্লো ওভার রেটের শাস্তিস্বরুপ খেলোয়াড়দের জরিমানা করেও কোন সমাধান না হওয়ার কারণেই মূলত এমন সিদ্ধান্তে যাওয়ার কথা ভাবছেন পন্টিং-গাঙ্গুলিরা। তবে এখনই কোন কিছু চূড়ান্ত হচ্ছে না। আরও কয়েক দফা আলোচনা ও বিশ্লেষণের পরই নির্ধারিত হবে ক্রিকেটে সময় অপচয় কমানোর নতুন নিয়ম।