ভারতের কেরালা রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসের ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রানওয়েতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কায় কোচি বিমানবন্দরের সব আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ বিমান নামা স্থগিত রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ইডুক্কি জলাধারের গেট খুলে দেয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। চিরুথোনি বাঁধ থেকে পানি এসে পৌঁছালে পিরিয়ার নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে। ফলে ওই এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

২৬ বছর পর এই প্রথম ইডুক্কি জলাধারের গেট খুলে দেয়া হলো। ভারী বর্ষণের কারণে ওই জলাধারের কাছাকাছি অধিকাংশ গ্রাম ভেসে গেছে। একাধিক এলাকায় ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে। ইডুক্কির আদিমালি শহরে একই পরিবারের পাঁচজন মারা গেছে। ধ্বংসস্তুপের মধ্য থেকে দু’জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

রাজ্যের বেশ কিছু স্থানে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যার কারণে ন্যাশনাল ডিজেস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) একটি টিম উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে কোঝিকোডে পৌঁছেছে। উত্তর কেরালায় কাজ করতে এনডিআরএফ-এর আরও দু’টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে।