বাংলা ওয়েবসাইটের জন্য আর ইংরেজি ভাষার ডোমেইন কিনতে হবে না। নিজের দেশের ভাষাতেই নিতে পারবেন ডোমেইন। এমনটাই জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ডোমেইন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারনেট করপোরেশন ফর অ্যাসাইনড নেমস অ্যান্ড নাম্বারস (আইসিএএনএন)।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আইসিএএনএন ইন্ডিয়া থেকে ২২টি ভাষায় ডোমেইন নাম দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ এগিয়ে চলেছে। বিষয়টি অনুমোদন পেয়ে গেলে ইংরেজি নামের ডোমেইন আর না কিনলেও চলবে। চাইলে হিন্দি ও বাংলা ভাষাসহ স্থানীয় বিভিন্ন ভাষায় ডোমেইন নাম কেনা যাবে।

আইসিএএনএন ইন্ডিয়ার প্রধান সমীরণ গুপ্তা জানিয়েছেন, নয়টি ভারতীয় ভাষার স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ চলছে। তার মধ্যে আছে বাংলা, দেবনাগরী, গুজরাটি, গুরুমুখী, কানাড়া, মালায়ালম, ওডিশি, তামিল ও তেলেগু। এ স্ক্রিপ্টগুলো আরও অনেক স্থানীয় ভাষার ডোমেইন নামের সঙ্গে কাজ করবে। আইসিএএনএন বর্তমানে এসব ভাষার ডোমেইনের জন্য নিরাপত্তা ও টেকসই সংজ্ঞা নির্ধারণে কাজ করছে। বিশ্বের অন্যান্য স্ক্রিপ্টের ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম পালন করা হয়, এ ক্ষেত্রেও তা-ই অনুসরণ করা হবে।

এর ফলে যারা ইংরেজি জানে না বা বোঝে না, তারাও অনলাইনে আসতে পারবেন। পুরোপুরি স্থানীয় বা নিজস্ব ভাষার ডোমেইন ব্যবহারের সুযোগ হবে মানুষের।

আইসিএএনএন ভারতের প্রধান বলেন, বর্তমান বিশ্বে ৫২ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আছে। আইসিএএনএন বর্তমানে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করছে। অনলাইনের বাইরে থাকা বাকি ৪৮ শতাংশ মানুষের অনেকেই ইংরেজি বলতে পারে না বা টাইপ করতে পারে না। স্থানীয় ভাষায় ডোমেইন পাওয়া গেলে অনেকের জন্য সুবিধা হবে।

বর্তমানে গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে বাংলাসহ অনেক স্থানীয় ভাষায় কনটেন্ট সার্চ করা যায়। তবে স্থানীয় ভাষায় ডোমেইন পাওয়া গেলে স্থানীয় ভাষায় কনটেন্ট প্রকাশ করা সহজ হবে বলে মনে করেন সমীরণ গুপ্তা।

স্থানীয় ভাষায় ডোমেইন নাম আনতে নিও-ব্রাহ্মী জেনারেশন প্যানেল তৈরি করেছে আইসিএএনএন। এতে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও সিঙ্গাপুরের ৬০ জন কারিগরি বিশেষজ্ঞ, ভাষাবিদ অংশ নিয়েছেন। এ অঞ্চলগুলোর জন্যও নতুন স্ক্রিপ্ট তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দেবনাগরী, গুজরাটি, গুরুমুখী, কানাড়া, ওডিশি ও তেলেগু স্ক্রিপ্ট জনসাধারণের মতামতের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

www.icann.org/idn লিংকে মতামত দেওয়া যাবে। তবে বাংলা ভাষার জন্য এখনে মতামত চাওয়া হয়নি।

আইসিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে ৪২০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে, যা ২০২২ সাল নাগাদ ৫০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।