বরিশাল শহরের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল চৌমাথা এলাকায় অনিক চৌধুরী একটি আতংকিত নাম। কেউ এই নামটি জোপে ভয়ে। আবার কেউ তাকে তোয়াজ করে অনৈতিক সুবিধা হাসিলের কারণে। এই অনিক স্থানীয় ব্যক্তি বিশেষকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে চৌমাথা এলাকায় গড়ে তুলেছেন মাদকের একটি শক্তপোক্ত সিন্ডিকেট। অবশ্য মাদকের হোলসেলর নামের তকমাটি জুড়তে গিয়ে তিনি কতিপয় ব্যক্তিকে অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়েই ব্যবসাটি চালাচ্ছিলেন। এমনকি শোনা গেছে, অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে পুলিশও ছিল ম্যানেজ। কিন্তু সেই অনিকের লাগাম এবার টেনে ধরার সক্ষমতা দেখালো কোতয়ালি থানা পুলিশ।

শনিবার রাতে এই থানা পুলিশের একটি টিম নবগ্রাম রোড এলাকা থেকে অনিক চৌধুরী ও তার সহযোগী রিপন দাস কালুকে গ্রেফতার করে। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করার বিষয়টি জানিয়েছে পুলিশ। অনিক চৌধুরী বরিশাল শহরের স্বনামধন্য চিকিৎসক মজিবুর রহমান রিপন ওরফে এমআর চৌধুরীর ভাতিজা।

ভয়াঙ্কর এই যুবক সাম্প্রতিকালে এক তরুণীকে প্রকাশ্যে সড়কে ফেলে পিটিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তুলেছিলেন। এমনকি সেই ঘটনায় কোতয়ালি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে নিয়েছিল। কিন্তু তখন থানার তদন্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান অনিককে রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নেন। ফলে সেই দফা তরুণীর কাছে হাত পা ধরে মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পেয়েছিলেন। তবে ভেতরের খবর হচ্ছে ওসি আসাদ লাখ টাকা সন্ধিচুক্তিতে তাকে রক্ষায় অগ্রসর হয়েছিলেন। সেই ঘটনার মাস দুয়েকের মাথায় অনিক চৌধুরী ইয়াবা নিয়ে পুলিশের জালে আসার বিষয়টি ব্যাপক ভাবে আলোড়িত হচ্ছে।

বরিশাল কোতয়ালি পুলিশ জানিয়েছে, সহকারী কমিশনার রাসেল হোসেনের নেতৃত্বে শনিবার রাতে নবগ্রাম রোডে অভিযান করে অনিক ও তার সহযোগী কালুকে আটক করা হয়। ওই সময় অনিকের কাছ থেকে ২০ ও কালুর কাছ থেকে ৩০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের পরবর্তী তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই অনিক ওই এলাকার অনিচুর রহমান ওরফে বাবুল চৌধুরীর ছেলে।

এদিকে অনিকের গ্রেপ্তারের খবরে নগরীর চৌমাথা এলাকার বাসিন্দাদের স্বস্তি এনেছে। এমনকি অনেকে গ্রেফতারের খবর শুনে আনন্দ উল্লাসও প্রকাশ করেছেন।’