প্রেমিকসহ ১৮ বছর বয়সী মেয়ের শিরশ্ছেদ করেছেন বাবা ও চাচা। ঘটনাটি অনার কিলিং (সম্মান বাঁচাতে হত্যা) বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে।

সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পাঞ্জাবের অ্যাটক জেলার একটি গ্রামে এই শিরশ্ছেদের ঘটনা ঘটে বলে ‘ডননিউজ টিভি’র বরাত দিয়ে জানিয়েছে ‘ডন’।

পুলিশ জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী প্রেমিক তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে গেলে মেয়ের বাবা মাসুদ এবং চাচা ওয়াহীদ তাদেরকে ধরে ফেলেন। এরপর দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের শিরশ্ছেদ করা হয়।

সাদ্দার পুলিশ স্টেশনের উপ-পরিদর্শক আসিফ খান ‘ডননিউজ টিভি’কে বলেন, পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে মাসুদ ও ওয়াহীদকে গ্রেপ্তার এবং শিরশ্ছেদে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করেছে।

তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

এই ঘটনায় জোড়া খুনের একটি মামলা দায়ের হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

সম্প্রতি পাকিস্তানে অনার কিলিংয়ের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অক্টোবর ২০১৬ থেকে জুন ২০১৭ পর্যন্ত কমপক্ষে ২৮০টি অনার কিলিংয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি হিউম্যান রাইটস অব পাকিস্তান’র।

পাকিস্তানের আইন অনুসারে, অনার কিলিংয়ের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তির বিধান আছে। কিন্তু সম্মান বাঁচাতে কাউকে হত্যা করা হয়েছে- প্রমাণিত হলে বিচারকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

এ বিষয়ে ইসলামাবাদের কয়েদ-ই-আজম ইউনিভার্সিটির জেন্ডার স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের প্রধান ড. ফারজানা বারি বলেন, এই আইনে হত্যাকারী সহজেই অনার কিলিংয়ের দাবি করতে পারে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারে।’