ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের (ওএনএস) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম অলিভার। ২০১৩ সাল থেকে পরের টানা চার বছর ধরে সবচেয়ে বেশি রাখা নামের শীর্ষে রয়েছে এ নামটি।

কিন্তু নামের বানানের বিষয়টি বিবেচনা করলে এই পরিসংখ্যান সহজে বদলে যেত। মুহাম্মদ হয়তো নামের তালিকার শীর্ষে থাকতেন।

২০১৭ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, সে বছর ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া শিশুদের নামের তালিকার শীর্ষে ছিল অলিভার। ছয় হাজার ২৯৫ জনের নাম রাখা হয় অলিভার।

নামের তালিকার ১০ নম্বরে ছিল মুহাম্মদ। তিন হাজার ৬৯১টি শিশুর নাম রাখা হয় মুহাম্মদ। কিন্তু ইংরেজিতে মুহাম্মদ নামের বানান করা হয়েছে ১৪ রকম, মুহাম্মদ, মহম্মদ, মোহামেদ, মোহাম্মদ, মোহাম্মদ ইত্যাদি। ফলে সরকারি তালিকায় ভিন্ন ভিন্ন নাম হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

হিসাব করে দেখা গেছে একভাবে যদি এই নামের বানানটি লেখা হতো তাহলে মুহাম্মদ নাম রাখা শিশুর সংখ্যা হতো সাত হাজার ৩০৭। অর্থাৎ অলিভারের চেয়ে এক হাজারেরও বেশি শিশুর নাম হতো মুহাম্মদ এবং মুহাম্মদ হতো ইংল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম।

মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রেও একই নামের বানান ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় তালিকায় সেগুলোর নাম আলাদাভাবেই দেওয়া হয়। যেমন ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি মেয়ে শিশুর নাম রাখা হয় অ্যামেলিয়া। কিন্তু সোফিয়া নামটির ইংরেজি বানান ভিন্ন ভিন্নভাবে না লেখা হলে সোফিয়া নামটি থাকতো শীর্ষে।

অনেক নামের আবেদন কমছে

ইংল্যান্ডে অনেক নাম ধীরে ধীরে আবেদন হারাচ্ছে, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। যেমন ১৯০৪ সাল থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত মেয়ে শিশুদের যেসব নাম রাখা হতো তার শীর্ষ ১০টির মধ্যে থাকতো ‘ডরিস’। ১৯০৪ সালে ডরিস ছিল জনপ্রিয় নামের তালিকায় তৃতীয়। ১৯২৪ সালে সেটি সপ্তম স্থানে নেমে যায়। ১৯৩৪ সালে সেটি চলে আসে ৩৩ নম্বরে।

এখন ডরিস নামটি তালিকার এক শ’র মধ্যেও নেই।