সাকিব যখন অস্ট্রেলিয়ায় নিচ্ছেন নিজের আঙুলের উন্নত চিকিৎসা, তখন দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উৎকণ্ঠায় আপামর সাকিব ভক্তরা। হুট করেই গুঞ্জন চাউর হয় ২০১৯ সালের বিশ্বকাপটা হয়তো খেলা হবে না বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারের। টেনশন বেড়ে যায় সকলের, অপেক্ষা করেন সাকিবের মুখ থেকেই নিশ্চিত খবর শোনার।

রোববার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে মেলবোর্ন-সিঙ্গাপুর হয়ে রাজধানীর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। দেশে ফির নিজ মুখেই শুনিয়েছেন আঙুলের বর্তমান অবস্থা, কথা বলেছেন সামনের দিনগুলো সম্পর্কেও।

সাকিব জানিয়েছেন আঙুলের ইনফেকশন এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো। আঙুলের শক্তিটা ফিরে পেলে যেকোনো সময়েই নেমে পড়তে পারবেন মাঠে। শুধু তাই নয়, এখন থেকে ছয় মাসের মধ্যে হাতের সার্জারিও করা যাবে না বলে জানিয়েছেন সাকিব। তবে ছয় মাস পরে যদি সার্জারি করতে হয় তখন তো শঙ্কার মুখে পড়ে বিশ্বকাপে খেলা।

এ ব্যাপারে সবাইকে আশ্বস্ত করেছেন সাকিব যে সার্জারি ছাড়াও খেলা সম্ভব হতে পারে। এমনকি এক মাসের মধ্যেও নেমে পড়তে পারেন মাঠে। তবে এটিকে স্রেফ সম্ভাবনা হিসেবেই বলেছেন, নিশ্চিতভাবে জানাননি কিছুই।

বিমানবন্দরে সংবাদ মাধ্যমকে সাকিব বলেন, ‘আঙুলের সমস্যাটা আসলে এমন একটা ব্যাপার যেটার কোনো বাঁধাধরা সময় নেই। হতে পারে যে সামনের মাসেও খেলতে নেমে যেতে পারি। এখন হাতে ব্যথা নেই, খুব ভালো অনুভব করছি। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার হাতের সঞ্চালন ক্ষমতা ও শক্তি কত দিনে ফিরে আসে। রিহ্যাবের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে পারে। যদি আসে তাহলে সামনের মাসেও খেলতে পারি। আবার রিহ্যাবের পর যদি ব্যথা অনুভব করি তাহলে আবার অপেক্ষা করতে হবে যে কখন সার্জারি করতে পারব।’

‘পুরো ব্যাপারটাই আসলে একটা অনিশ্চিত ঘটনা। তবে একটা জিনিস ভালো যে ইনফেকশন হবার পর এখন সেটা কমে গেছে। এখন সার্জারি বাদেও খেলা যেতে পারে। যদি সেটা হয় তাহলে সেটা হবে সব থেকে ভালো অপশন। কিন্তু এটাও নিশ্চিত করে বলাটা মুশকিল। বললাম যে হতে পারে একমাস পরেও খেলতে পারি আবার ছয় মাসও লাগতে পারে। আশা করি একমাস পরই খেলতে পারব। তারপরও যেহেতু আঙুলের শক্তি ফেরত আসার ব্যাপার আছে। এক মাসে হয়তো হবে না। একটু বেশিই সময় লাগবে।’

বিশ্বকাপ তো বহুদূরে, দৃষ্টিসীমানায় এখন চলতি বছরের জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। দুই সিরিজের একটিতেও খেলতে পারবেন না সাকিব তা প্রায় নিশ্চিত, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলতে পারবেন না বন্ধু তামিমও। তবু সাকিব মনে করেন তারা না খেললেও ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে না জেতার কারণ নেই।

সাকিব বলেন, ‘ইনজুরিটা তো খেলাধুলারই অংশ। একজন-দুইজন খেলোয়াড় সব সময় ফিট থাকবে না। সব সময় খেলতেও পারবে না। এর সুবিধা হচ্ছে নতুন নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ আসে। আশা করি তারা কাজে লাগাতে পারবে এবং ভালো করবে। সত্যি কথা বলতে কারো জন্য কোনো কিছু অপেক্ষা করে না। আমি আশা করি বাংলাদেশ আরও ভালো করবে। আমি ও তামিম ছাড়া যদি এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলতে পারে তাহলে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে না জেতার কোনো কারণ দেখি না।’