পিরোজপুর-২ সংসদীয় আসনের কাউখালী উপজেলার সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে সোনাকুড় গ্রাম প্রায় বিলীন হওয়ার পথে উল্লেখ করে নদীভাঙন রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকাস্থ কাউখালীবাসী। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইতোমধ্যে সোনাকুড় গ্রামটির তিনভাগের প্রায় দুইভাগ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সোনাকুর গ্রামে রয়েছে ২৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প। এই গ্রামের মাটির কাজ করা কুমার ও পাল বংশের লোকজন ভিটেমাটি হারিয়ে আজ নিঃস্ব।

তারা বলেন, গত ১৫ দিনে সোনাকুর গ্রামের প্রায় ২০ একর জমি, ৫০টির বেশি বাড়ি ও ২০টি দোকান এবং একটি কাঠের ব্রিজ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ভাঙন ছড়িয়ে পড়েছে ১ নং সয়ন-রঘুনাথপুর ইউনিয়নের হোগলা, বেতকা, রঘুনাথপুর, সয়না, রোঙ্গাকাঠি, শীর্ষা ও মেঘপাল গ্রামে। এদিকে ২ নং আমড়াজুরি ইউনিয়নের সরকারি খাদ্য গুদাম, আশোয়া, গন্ধব্য, কুমিয়ান, ফেরিঘাট এলাকায়া ধীরে ধীরে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। একই সাথে কাউখালী নদীবন্দর লঞ্চঘাট এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যা এখন থেকে রোধ না করলে মানচিত্র থেকে এই উপজেলা বিলীন হয়ে যাবে। তাই নদীভাঙন রোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

কাউখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ কাউখালী যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি এ কে এম সাইফুর রহমান আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম উজ্জ্বল, এইচ এম দীন মোহাম্মদ, ঢাকাস্থ কাউখালী শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ফররুখ বাবু প্রমুখ।