একেই বলে প্রকৃত লড়াকু ক্রিকেটার। এক পাশে যখন একের পর এক উইকেট যাচ্ছিল, তখন অন্যপাশ ধরে রেখে বাংলাদেশকে একটি চ্যালেঞ্জিং জায়গায় তুলে আনলেন ইমরুল কায়েস। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩য় সেঞ্চুরিটাও তুলে নিলেন বাংলাদেশ দলের এই ওপেনার।

দীর্ঘদিন পর ওপেনিং পজিশনে ফিরে এসে নিজেকে আবারও চেনালেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার ইমরুল কায়েস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে যখন একপাশে লিটন, ফজলে রাব্বি, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ কিংবা মোহাম্মদ মিঠুনরা একে-একে ফিরে যাচ্ছিল, তখন অন্যপাশে হিমালয়ের মত দৃঢ় হয়ে উইকেটে এঁটে বসেছেন ইমরুল। শুধু এঁটে বসাই নয়, রানও করেছেন। তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলের সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু মাঠে নামার সুযোগ পাননি। এশিয়া কাপের দলেই রাখা হয়নি তাকে। পরে জরুরি পরিস্থিতিতে দেশ থেকে উড়িয়ে নেয়া হয় তাকে। যদিও তিন ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে পারেননি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করেছেন ৬ নম্বরে। ওই ম্যাচেই নিজেকে চেনান ৭২ রান করে।

২০০৮ সালের ১৪ অক্টোবর চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় ইমরুল কায়েসের। সে থেকে আজ পর্যন্ত খেলেছেন ৭৪টি ওয়ানডে। ২১৩৫। সেঞ্চুরি ২টি এবং হাফ সেঞ্চুরি হলো ১৬টি।

এবার সেই ওপেনিংয়েই ফিরে এলেন ইমরুল এবং সঙ্গীরা একের পর এক বিদায় নিলেও দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাট করে তিনি পৌঁছে যান হাফ সেঞ্চুরির মাইলফলকে। ৬৪ বল খেলে তিনি পৌঁছান ৫০-এর ঘরে। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে মারেন ১টি ওভার বাউন্ডারি।

এরপর ১১৮ বলে তিনি পৌঁছালেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরির মাইলফলকে। এ রিপোর্ট লেখার সময় ইমরুল কায়েসের রান ১১৮ বলে ১০০। দলীয় রান ৬ উইকেট হারিয়ে ৪২.১ ওভারে ১৯৮। ২৭ রান নিয়ে ইমরুলের সঙ্গে রয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।