পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় পৃথক স্থানে সুকদেব হাওলাদার (৩২) ও সুমন হাওলাদার (২৫) নামে দুই যুবক আত্মহত্যা করেছেন। রোববার দুপুর ও শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনা দুটি ঘটে।

রোববার দুপুরে উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের মেদিরাবাদ গ্রামের নিজ বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত স্থানে সুকদেব বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন। পরে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মৃত্যুর স্থান রাজাপুর উপজেলা হওয়ায় সেখানকার থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে রাজাপুর থানায় নিয়ে যায়। নিহত সুকদেব ওই এলাকার সুবাশ হাওলাদারের ছেলে ও উত্তর ভিটাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক

স্থানীয়রা জানায়, সুকদেবের স্ত্রী মনিকা রানী তার বাবার বাড়িতেই থাকতেন। বেশ কয়েকবার তাকে আনতে গেলেও তিনি স্বামী সঙ্গে আসেননি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সবার অগোচরে বিষপানে আত্মহত্যা করে সুকদেব।

এ বিষয়ে রাজাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ম (ওসি) মো. শামসুল আরেফিন জানান, স্ত্রীর সঙ্গে মনমালিন্য থাকায় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠী মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অপরদিকে শনিবার সন্ধ্যায় কোনো এক সময় উপজেলার ২নং নদমুলা শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের উত্তর শিয়ালকাঠী গ্রামে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে সুমন আত্মহত্যা করে। তিনি ওই এলাকার মৃত ফারুক হাওলাদারের ছেলে।

স্থানীয় জানায়, সুমনের স্ত্রী পারভিন বেগম স্বামীর নামে যৌতুক মামলা করায় সুমন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। রাতে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়।

ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দিন জানান, তিন স্ত্রীর মাদকসেবী স্বামী ছিলেন সুমন। এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।