পাঞ্জাবের অমৃতসরে ভিড়ের মধ্যে ট্রেন উঠে যাওয়ায় ৬১ জনের প্রাণহানির ঘটনায় ট্রেনচালক মিথ্যা বলেছেন। ওই দুর্ঘটনার পর ট্রেনচালক বলেছিলেন, লোকজন পাথর ছুড়তে শুরু করায় তিনি ট্রেন থামানোর চিন্তা বাতিল করেন। রোববার স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, ট্রেনচালক যে বিবৃতি দিয়েছেন তা মিথ্যা।

চলতি মাসের ১৯ তারিখে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় কাউন্সিলর শেইলেন্দার সিং শেলি অভিযোগ করে বলেছেন, এক সঙ্গে এতো লোকজনকে রেল লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেও চালক ট্রেন থামাননি, এমনকি ট্রেনের গতিও কমাননি।

তিনি বলেন, মনে হচ্ছিল ট্রেনচালক চাচ্ছিলেন লোকজনের ওপর দিয়েই ট্রেন উঠিয়ে দিতে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আমাদের ভিড়ের ভেতর দিয়ে ট্রেন চলে গেল। সে সময় সবাই যে আতঙ্কে ছিল তাতে করে কারো পক্ষে কি পাথর ছুড়ে মারা সম্ভব? বিশেষ করে যখন আমাদের মধ্যে অনেকেই মারা যাচ্ছে এবং আহত হচ্ছে তখন কারো পক্ষে পাথর মারা সম্ভব বলে মনে করার কোন যৌক্তিকতা রয়েছে কি? তিনি বলেন, ট্রেনচালক মিথ্যা বলছেন।

চালক জানিয়েছেন, মানুষের ভিড় দেখা মাত্রই তিনি ইমার্জেন্সি ব্রেক চেপেছেন। কিন্তু তিনি সে সময় ট্রেন থামাতে পারেননি। তিনি আরও জানান যে, লোকজনকে সরিয়ে দেয়ার জন্য তিনি বারবার হর্ন বাজিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ট্রেন থামানোর চেষ্টা করছিলেন ঠিক তখনি লোকজন পাথর ছুড়তে শুরু করে। তখন যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আমি ট্রেন না থামিয়ে চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই এবং দুর্ঘটনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

তবে পরমজিত সিং নামে আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী চালকের এই কথার বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন, শত শত ভিডিও থেকে এটাই স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে যে ট্রেন কত দ্রুত চলে গেছে। আমরা প্রতিক্রিয়া দেখানোরও সুযোগ পাইনি। আমরা শুধুমাত্র লোকজনের চিৎকার আর কান্নার শব্দ শুনতে পেয়েছি।

ওই দুর্ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা এক পুলিশ সদস্যও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, চালকের কথা মিথ্যা। তিনি বলেন, আমি যতদূর জানি, দুর্ঘটনার সময় কেউই পাথর ছুড়ে মারেনি।