স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডাক্তার শাহ মোজাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুদক। এছাড়াও একই অভিযোগে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার চিন্ময় হাওলাদারের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার পটুয়াখালী দুদকের উপসহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে- পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম এমএস কোর্সে দুই বছরের ছুটিতে যায়। ওই পদে দায়িত্ব দেয়া হয় পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডাক্তার শাহ মোজাহেদুল ইসলামকে। এই সুবাদে ২০১৭-১৯ অর্থ বছরে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে কমিউনিটি বেইজ হেলথ কেয়ার (সিপিএইসসি) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খাতে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়।

সিভিল সার্জন ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে বরাদ্দের অনুকূলে খরচ দেখিয়ে ইসলামী ব্যাংক পটুয়াখালী শাখার মাধ্যমে নিজ নামীয় রংপুর সাউথইস্ট ব্যাংক এবং তার ছেলে ডা. জাহিদুল ইসলামের সিটি ব্যাংক সৈয়দপুর শাখার মাধ্যমে ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮৯ টাকা প্রেরণ করে আত্মসাৎ করে। এ ঘটনায় দুদকের প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পেলে পটুয়াখালী দুদকের উপসহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস মঙ্গলবার পটুয়াখালী সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এদিকে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডাক্তার শাহ মোজাহেদুল ইসলাম ও কলাপাড়া স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার চিন্ময় হাওলাদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে কলাপাড়া থানায় একই দিনে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় উল্লেখ করা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে কলাপাড়া উপজেলায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। উল্লিখিত দুই ব্যক্তি সম্মিলিত হয়ে ১০ লাখ টাকার মধ্যে ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬৮৫ টাকা আত্মসাৎ করে অফিসে ভুয়া বিল ভাউচার সংরক্ষণ করেন।

আত্মসাৎকৃত ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬৮৫ টাকার মধ্য ডাক্তার চিন্ময় হাওলাদার পটুয়াখালী সিভিল সার্জনকে ৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকা প্রদান করেন এবং বাকি অর্থ নিজেই আত্মসাৎ করেন।’