মহাজোট প্রার্থী নিয়ে রটনা আর গুজবে ভাসছে বরিশাল-৩

✪ আরিফ আহমেদ মুন্না ➤
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে মহাজোটের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে তা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে এই তালিকা জমা দেয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া চূড়ান্ত তালিকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন ২৫৮ জন। এছাড়াও শরিকদের দেওয়া হয়েছে মোট ৪২টি আসন। এরমধ্যে জাতীয় পার্টি ২৬টি, ওয়ার্কাস পার্টি ৫টি, যুক্তফ্রন্ট (বিকল্পধারা) ৩টি, জাসদ (ইনু) ৩টি, জাসদ আম্বিয়া ১টি, তরিকত ফেডারেশন ২টি এবং জেপি (মঞ্জু) ২টি আসন পেয়েছে।

অবশ্য এর আগে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগ থেকে ২৯টি আসন পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেন, সব মিলিয়ে ১৬১টি আসনে লড়বে জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ২৯টি আসন দিয়েছে। এছাড়া ১৩২টি আসনে আমাদের প্রার্থীরা উন্মুক্তভাবে নির্বাচন করবেন।

মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে দেওয়া ২৬টি আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে তারা। এসব আসনে কাউকে নৌকা দেওয়া হয়নি। বরিশাল-৩ আসন এখন পর্যন্ত ওয়ার্কার্স পার্টির ভাগেই রয়েছে। তাই এ আসন থেকে নৌকা প্রতীকের মহাজোট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন অ্যাডভোকেট শেখ মো. টিপু সুলতান।

এদিকে ১৪ দলীয় জোট-মহাজোটের গ্যাঁড়াকলে বরিশাল-৩ আসনটি ছাড় দিতে রাজি নয় জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এ প্রতিবেদকের কাছে মুঠোফোনে নিজেকে বরিশাল-৩ আসনের মহাজোট মনোনীত প্রার্থী দাবি করে বলেন, লাঙ্গল প্রতীক নিয়েই তিনি নির্বাচন করবেন এবং আগামী কালকের মধ্যে এ আসনে নৌকা প্রার্থীর মনোনয়ন অটোমেটিক বাতিল হয়ে যাবে।

তবে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন মুঠোফোনে বলেন, বরিশাল-৩ আসনটি ওয়ার্কার্স পার্টিকে দেওয়া হয়েছে। তাই সেখানে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ মো. টিপু সুলতান। তিনিই মহাজোট মনোনীত প্রার্থী। বরিশাল-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপু নির্বাচন করলে সেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্তে করতে পারেন। সেটা কখনোই মহাজোটের সিদ্ধান্ত নয়। তাই ১০ তারিখ টিপু সুলতানের নামেই নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেবে নির্বাচন কমিশন। আজ (৯ ডিসেম্বর) চূড়ান্ত চিঠি চলে গেছে কমিশনে। #