বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাসের এক বছর পূর্ণ হয়েছে শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি)। গত বছরের এই দিনে দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি হন তিনি। পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে একমাত্র বন্দি হিসেবে রয়েছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। তার সঙ্গে ‘গৃহপরিচারিকা’ হিসেবে আছেন ফাতেমা।

 

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা পেয়ে কারাগারে যান তিনি। এ মামলায় হাইকোর্টের আপিলে সাজা বেড়েছে তার। গত ৩০ অক্টোবর তাকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

 

স্বজন ও কারাগারের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কারাবন্দি হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে দু’টি ঈদ একলাই কাটাতে হয়েছে। ঈদের দিন স্বজনরা কারাগারে দেখা করেছেন, খেয়েছেন একসঙ্গে। তবে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকীতে একা একা নামাজ আদায়, দোয়া-দরুদ, কোরআন পড়েই কেটেছে তার।

 

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ড পেয়ে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়া বিএনপি দাবি করছে, দীর্ঘ এই সময় কারাগারে থাকলেও মনোবল এতোটুকুও টলেনি বিএনপি প্রধানের। বরং কোনো প্রতিনিধি দল কারাগারে দেখা করতে গেলে তিনি বিএনপিকে পরবর্তী করণীয় নিয়ে নানা দিক-নির্দেশনাও দিচ্ছেন।

 

১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি রাজনীতিতে যোগ দেয়ার পর খালেদা জিয়া মোট পাঁচবার গ্রেফতার হয়েছেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর তিনি তিন দফায় গ্রেপ্তার হন। তবে এ সময় তাকে বেশিদিন আটক থাকতে হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় ৩৭২ দিন জাতীয় সংসদ ভবন এলকায় স্থাপিত বিশেষ সাব জেলে ছিলেন তিনি।