ঝালকাঠির রাজাপুরে মাদক সেবন করিয়ে সহযোগী বানানোর উদ্দেশে জোরপূর্বক মাইনুল ইসলাম (১৩) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে মাদক খাওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ উঠেছে এলাকার চিহ্নিত মাদক সেবনকারী রেজাউলের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনায় রাজাপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

স্কুল শিক্ষার্থী মাইনুল বর্তমানে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মাইনুল উপজেলার এমএস আলম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ও পূর্ব বাদুরতলা এলাকার আব্দুল হাই মল্লিকের ছেলে।

মাইনুলের বড় ভাই বুলবুল আহম্মেদ বরিশালটাইমসকে জানান, উপজেলার পশ্চিম বাদুরতলা এলাকার রুস্তুম হাওলাদারের ছেলে রেজাউল ইসলাম দীর্ঘদিন মাদকের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে এমনকি ও মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসা থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। রেজাউল গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাদুরতলা বাজার থেকে মাইনুলকে ডেকে নিয়ে বাজারের কাছে থাকা বিষখালী নদীর পাসে নিয়ে জোর করে মাইনুলকে নেশাজাতীয় ওষুধ খাওয়ায়। এর কিছুক্ষণ পরেই মাইনুল অজ্ঞান হয়ে পরে। এর কিছুক্ষণ পরে স্থানীয়রা মাইনুলকে এভাবে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়।

একপর্যায়ে মাইনুল বমি করাসহ তার শরীরে অনেক অসুস্থ্যতা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।

এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শিব শংকর জানান, ওর পেটে চেতনানাশক কোন ওষুধ পড়তে পারে তবে তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

স্থানীয়রা জানান, রেজাউল একজন চিহ্নিত মাদক সেবনকারী এবং সে প্রায়ই এরকমের ছেলেদের মাদক সেবন করায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান মোল্লা বরিশালটাইমসকে বলেন, আমি শুনেছি ঘটনাটি সত্য তবে আমি জিজ্ঞাসা করলে তারা গুমের ট্যাবলেট খাওয়ানোর কথা বলেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রেজাউলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ওকে কোন মাদক খাওয়াইনি শুধু একটু ইজিআম দিয়েছিলাম। আমি বিষয়টি বুঝতে পারি নি যে এতদূর হবে।

এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) মাইনুদ্দিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’