বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীর দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা স্থাপনা। শহর লাগোয় প্রান্তে কেডিসির বিএডিসি ঘাটসংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএর ওই জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে ভবন ও গুদামঘর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- তীর থেকে প্রায় ৮ ফুট নদীর ভেতরে মাটি ভরাট করে গুদাম ও ভবন নির্মাণকাজ চলছে।

খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে- নগরীর জর্ডন রোড এলাকার মোস্তাক হোসেন নামের এক বাসিন্দা এই দখলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এরই মধ্যে সেখানে একটি গুদামঘর ও একটি মেস ভবন গড়ে তুলেছেন তিনি।

সরেজমিনে উপস্থিত মোস্তাক হোসেন দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি দাবি করেন, ২০০৪ সালে তিনি ও কাজী ফখরুল আলম নামের আরও একজন মিলে ৪২ লাখ টাকা দিয়ে বিএডিসি ঘাটসংলগ্ন ৩৪ শতাংশ জমি কেনেন। যেখানে গুদামঘর নির্মাণ করা হচ্ছে সেটা ওই জমির অংশ।

মোস্তাক হোসেন বলেন- ‘আমাদের আগে জমির মালিক ছিলেন ফরিদা বেগম নামের একজন নারী। তিনি একজন সচিবের স্ত্রী। ফরিদা বেগম জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে জমিটি লিজ নিয়েছিলেন। পরে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে তিনি ওই জমি আমাদের কাছে বিক্রি করেন। আমাদের কাছে জমির দলিলপত্র রয়েছে।’

অপরদিকে বিএডিসি ঘাটের পশ্চিম পাশে নদীর বিশাল অংশ দখল করেছে হাওলাদার আয়রন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের গুদামঘর বানানো হয়েছে। তার পাশে ইট-বালু-পাথরের খোলার আড়ালে দখল করা হয়েছে নদীর বড় একটা অংশ।

কেডিসি এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ কোনো জমি লিজ দেয়নি বলে জানান বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘কেডিসি এলাকায় নদীবন্দরের জমি রয়েছে। সেই জমিতেই ভবন বা গুদাম নির্মাণ হচ্ছে, নাকি নদী দখল করা হচ্ছে সে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিএডিসি ঘাটসংলগ্ন কোনো জমি বিআইডব্লিউটিএ লিজ দেয়নি।’ বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।

বরিশাল জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘সরকারি জমি লিজ নেয়ার সুযোগ থাকলেও বিক্রির নিয়ম নেই। যিনি ওই জমি নিজের দাবি করছেন তা কিসের ভিত্তিতে করছেন সেটা আমার বোধগম্য নয়। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’