সঞ্জয় সরকার : মনে করার চেষ্টা করি প্রায় চার বছর আগে যখন বর্তমান ভিসি এস. এম. ইমামুল হক দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দফায় দফায় মিটিং হলো। অনেক গোছানো স্বপ্নময় কথা হলো। আমি ও আমার মতো অনেকেরই প্রত্যাশার পাল্লা ভারি হয়েছিলো সেদিন।

যাহোক আমরা নিয়ম, নীতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচক উন্নয়ন দেখতে চেয়েছিলাম। যে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অন্যান্যদের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবেছি তারা সর্বদা অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলে গেছি। স্বার্থবাদী মানুষের কারণে সেসব আলোর মুখ দেখেনি। এসব ছিলো মরুভূমিতে জল ঢালার মতো। ভিসি বারবার শিক্ষকদের স্বার্থবিরোধী, শিক্ষার্থী স্বার্থ-বিরোধী কাজ করেছেন। সবচেয়ে বড় কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ড্রাইভার, সিকিউরিটি গার্ড, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, বরিশালের প্রগতিশীল চিন্তার মানুষজন, রাজনীতিবিদ সকলকে নিয়ে তিনি বারবার অপমানমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। একজন তরুণ লেকচারারে সাথে ভিসির ইগো দ্বন্দ্বের সুযোগ নেই। তিনি সেটি সর্বদাই করতেন। ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে তিনি কণ্ঠরোধ করতে চেয়েছেন। নিজের প্রসঙ্গে বলি- ভিসির দায়িত্বের প্রথম দিকে তিনি একাডেমিক কাউন্সিলে বসে আমার কবিতা পাঠ করলেন, লোকজনকে শোনালেন। সেই একই ভিসি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে হেনস্তা করলেন। কেন? অথচ বর্তমান ভিসির সংস্কৃতি ও সাহিত্যবোধ নিয়ে আমি বহুজায়গায় প্রশংসা করেছি। কিন্তু আমার দেখা সর্বোচ্চ কান কথায় গলে যাওয়ার মানুষ ইনি। তার রুমে সারাক্ষণ বসে থাকা ধান্দাবাজদের অভাব ছিলো না। মনে হতো নিজ বিভাগে এদের অফিস নয়, এরা ভিসির রুমে অফিস করেন! অথচ এই ব্যক্তি (ভিসি) নোটিশ দেন যে তার রুমে সকলে যেতে পারবে না! জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি লেকচারার পদে আবেদন করবো বলে অনুমতি চাইলাম। প্রথমত অনুমতি দিলেন না। পরে আবার চাইলাম এবার দিলেন উল্টো চিঠি। আমি নাকি এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হয়ে লেকচারার পদে আবেদনের অনুমতি চেয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে অপমান করেছি। দেশের বহু শিক্ষক এমন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছেন। তারা তাহলে সকলে বিশ্ববিদ্যালয়কে অপমানই করেছেন।

অথচ একই ভিসি অন্য বিভাগের শিক্ষককে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর থেকে লেকচারাকে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। আমি শিক্ষকদের মিটিংএ ভদ্রতার সাথে তার কাছে জানতে চাইলাম। তিনি আমাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন, চাকরি যাওয়ার ভয় দেখালেন। ফেসবুকে শিক্ষকদের গ্রুপে প্রতিবাদ করেছি বলে রাগান্বিত হলেন। খুব কষ্ট নিয়ে বলতে হয় সেদিন প্রায় একশো শিক্ষক সকলে নীরব ভূমিকা পালন করেছিলো। সকলে আমার অপমান হজম করেছিলো। আমি এরপর শিক্ষক সমিতির মিটিংএ যাওয়া প্রায় বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর আসলো এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর অস্থায়ী থেকে স্থায়ী হওয়ার ভাইভা বোর্ড। আমি লেকচারার পদে স্থায়ী ছিলাম কিন্তু আমাকে প্রোমোশন দেয়ার সময় এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর (অস্থায়ী) দেয়া হলো! হাস্যকর! চেয়ারম্যানের কোনো কথাই রাখা হলো না। যা হোক ভাইভা বোর্ডে আমাকে স্থায়ী না করে আমার জুনিয়র শিক্ষককে স্থায়ীভাবে প্রোমোশন দেয়া হলো। বলা হলো (ভিসি) আমি অস্থায়ী হলেও সমস্যা নেই আমি চাকরিতে সিনিয়র। কিন্তু ক্রমে গুটি উল্টে গেলো। ব্যক্তিগত সম্পর্ক আর ব্যক্তিগত কুৎসা রটিয়ে আমাকে বানানো হলো কালসাপ।

বলা হলো বিভাগে আমি ও কয়েকজন শিক্ষক সাপের মতো। বলা হলো ছাত্রদের ২২ দফা আন্দোলনে আমি উসকানি দিয়েছি। বলা হলো আমি মন্দির বানানোর জন্য ছাত্র লেলিয়েছি। (কারা এসব ভিসিকে বলেছেন আমি তাও জানি) বলা হলো আমি কট্টর। একইভাবে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এক শিক্ষককে জামায়াত-শিবির তকমা দিলেন। অথচ তিনি নিজের আশেপাশে যাদের নিয়ে চলেন তাদের মতাদর্শ নিয়ে সন্দেহ চরমে। ভাবতে অবাক লাগে এই ভিসি আমার উদারতা নিয়ে আকুণ্ঠ প্রশংসা করেছিলেন। নতুন বছরের ডায়েরি বের হতে দেরি হলো। আমার নামটা ডায়েরিতে অবনম করে ছাপা হলো। অথচ চেয়ারম্যান ক্রম ঠিকই রেখেছিলেন। একবছরের জুনিয়র নামটা লাফ দিয়ে উপরে চলে গেল। পরে শুনলাম শুধু এটুকু করার জন্য ডায়েরি ছাপতে দেরি হয়েছে! অনেকেই ভিসির সাথে দেখা করতে পরামর্শ দিয়েছিলো। হাস্যকর ভাবে আমাকে সরি বলতে বলেছিলো। আমি কোনোদিন ভিসির নিকট করুণা ভিক্ষা করতে চাইনি।

আমি নিজের আত্মসম্মানবোধ বিসর্জন দিতে পারিনি। যেটা অনেকেই মুহুর্মুহু করেছেন। এরপর সম্প্রতি এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর স্থায়ী হওয়ার বোর্ডে হাজির হলাম ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে আমাকে হেনস্তা করা হল। আমি কেন অধিক ছুটি নিচ্ছি। ক্লাস আসলে নিই কিনা প্রশ্ন তোলা হল। আমি কেন আর্টিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালে দিইনি ইত্যাদি। অথচ আমার আর্টিকেল একজন সয়েল সায়েন্সের শিক্ষক (ভিসি) রিভিউ না করেই বাতিল করে দিয়েছিলেন। আমার বাবা অল্পদিন আগে গত হওয়ায় আমি একমাসে দুবার ছুটি নিয়েছি বাড়িতে মা একা থাকেন বলে। বাবা ভারতে মারা গেলে ১৩ দিনের ছুটিকে পূজার বন্ধের সাথে এক করে এই ভিসি ৩৩ দিন দেখিয়েছেন শুধু প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই বিপর্যস্ত ছিলাম। বাবার মৃত্যু পর্যন্ত এই ভিসির প্রতিহিংসাকে থামাতে পারেনি।

আমি পিএইচডির ছুটিতে গেলে হয়তো সমস্যা ঢাকা পড়তো। কিন্তু আমি চেয়েছি উনি আমার সাথে কতগুলো অন্যায় করতে পারেন তার সবগুলো আমি দেখতে চাই। আমিতো প্রভোস্ট, প্রক্টর বা কোনো লোভনীয় পদ ভিসির কাছে কোনোদিন চাইনি। কখনো প্রয়োজনের অতিরিক্ত তার রুমেই যাইনি। কাউকে নিয়ে কিছু বলা দূরের কথা। চেয়েছি পড়াবো, পড়বো। অধিকারটুকু আমার থাক। অথচ যারা এসব পদ চায় তারা এখনো ধান্দাই করছে, পরেও করবে। পূর্ববতী চেয়ারম্যান মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে ফিরে আসলে তাকে সভাপতির দায়িত্ব না দিয়ে তাকেও বিভিন্নভাবে অপদস্ত করা হলো। শিক্ষক নিয়োগের বাছাই বোর্ডে যাতে পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান থাকতে না পারেন তাই ইচ্ছাপূর্বক তাকে যোগদান করতে দেয়া হলো না। এই ভিসিই বিভিন্ন সময় মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে ফিরে আসা শিক্ষককে দায়িত্বভার প্রদান করেছিলেন। ভিসির কূট আচরণে বিভাগের সকল কার্যক্রম অস্বাভাবিক হয়ে গেলো। এতসব ঘটনার পরও শিক্ষক নেতৃবৃন্দ আশ্বাসে চুপ করে থাকলেন!

কেননা সামনে অনেকেই প্রোমোশনের বোর্ডে মুখোমুখি হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে শিক্ষকরা প্রতিবাদ না করতে পারে তাই ভিসিশেষ সময়ে একমাস ধরে ভাইভা বোর্ডের তারিখ রাখলেন। অন্যান্য সময় ৫ থেকে ৭ দিনে সকল বোর্ড শেষ হয়ে যেতো। দীর্ঘ সময় ধরে বোর্ড হলে ভিসির শেষ সময়ে শিক্ষকরা প্রতিবাদ করবে না, তিনি এটা ভাবলেন। ব্যাপারটা হয়েছেও খানিকটা সেরকম ফলে শিক্ষার্থীরা অনেক শিক্ষককে ভুলও বুঝেছে। আর আমার ক্ষতির প্রতিবাদ আমি করবই। কথা কম বলি কিন্তু যেই করুক অন্যায় ও অন্যায়কারীকে সহ্য করবো না।

বিভাগের পূর্ববতী চেয়ারম্যানকে কি বিপদের মুখে ফেলেছিলেন ভিসি তার গল্প বলি। ছাত্ররা ২২ দফা দিয়ে দাবী আদায় করলো যে অনার্স শেষ হওয়ার পরই তারা মাস্টার্সের ক্লাস শুরু করতে পারবে, অনার্সের রেজাল্ট হওয়ার আগেই। বিভাগে সেভাবে ক্লাস শুরু হলে ভিসি সকলের সামনে চেয়ারম্যানকে ভৎর্সনা করলেন। চেয়ারম্যান আন্দোলনের রেফারেন্স দিলে ভিসি বললেন- আন্দোলন কিভাবে থামাতে হয় সেটা আমার ব্যাপার, আর এখন সেই দাবি মানবো কি মানবো না সেটাও আমার ব্যাপার। আশ্চর্য হওয়া ছাড়া আমাদের কোনো উপায় ছিলো না। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক ২২ দফার প্রায় একটি দফাও মানা হয়নি। অথচ যে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্থ করেছিলেন তারাও ছোট হয়ে গেলেন।

বিভাগের নতুন সিলেবাস তৈরি নিয়ে উপাচার্য দারুণ সব এ্যাবসার্ড বক্তৃতা দিয়েছেন। কোনো ধরনের বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস পাশ হয়েছে। উপাচার্যের বক্তব্য প্রফেসরদের আনার দরকার নেই। তাদের মেইল করো তারা মেইলে পরামর্শ দেবেন তাতেই হয়ে যাবে। আমি জানি না উনি নিজে কতটা মেইলে উত্তর দিয়ে সিলেবাস তৈরি করে দিয়েছেন। শুধু ভিসির ইচ্ছা ছিলো যে, সকল বিভাগ সেমিস্টার থেকে ইয়ারে যাক। কেউ একমত না হলেও আমরা বাংলা বিভাগ তখন স্বেচ্ছায় একমত হয়েছিলাম শুধু শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে। যে কারণে একাডেমিক কাউন্সিলে সিলেবাসের একপাতা পাঠ না করেও বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের মতামত ছাড়াই সিলেবাস পাশ হয়ে গেছে। হাস্যকরভাবে সেই সিলেবাসের ৪ ক্রেডিটের ফাইলান পরীক্ষা হয় ৩ ঘণ্টার। অনেক বলার পরও তিনি এটাকে সংশোধন করেননি। বিভাগের দুজন শিক্ষকের সিনিয়রিটি প্রতিহিংসামূলকভাবে তিনি ক্ষুন্ন করেছেন। আর দোষ চাপিয়েছেন বোর্ডের মেম্বারদের উপরে।

প্রায় ৪ বছরে ভিসি কোনো পত্রিকায় লেখালেখি করেননি। কিন্তু হঠাৎ তিনি পত্রিকার কলামিস্ট বনে গেলেন। কোথা দিয়ে কি হতে থাকলো বুঝতে পারলাম না। শিক্ষার্থীদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ যিনি করেন তিনি আবার পত্রিকায় সাধু সাধু কথা বলেন! প্রথম ভিসি অবকাঠামোর যা করেছেন সেখানে এসে বর্তমান ভিসি শুধু ফিতা কেটেছেন। উপরন্তু একটিও নতুন কাজ করতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষকদের নতুন পদ ও নতুন অবকাঠামোর কাজও আনতে পারেননি। একটি রেস্ট হাউস আছে যার পূর্ব ভাড়া ছিলো ২০০ টাকা, বর্তমান ভিসি তা বাড়িয়ে করেছেন ৭০০ টাকা। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আসলে থাকতে হয় সার্কিট হাউসে। ভিসির বাসভবন থাকা সত্ত্বেও তিনি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। বহু অনিয়ম বলে শেষ করা যায় না।

ভিসি একটি সম্মানীয় পদ। উনি এই পদে বসে পদকে অপমান করেছেন। শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলেছেন। সেনাশাসকের মনোভাব থেকে তিনি খোলা মাঠে গার্ডেন পার্টি করেছেন। সেই পার্টিতে একটিবারও যাওয়ার ইচ্ছা পর্যন্ত করিনি। ভিসি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে তার বিনোদন কারখানা বানিয়েছেন। মনেকরেছেন এটা তার দায়িত্ব নয় পুরস্কার। ওয়ালে ওয়ালে ধুমপানমুক্ত, রাজাকারমুক্ত, র‌্যাগিংমুক্ত প্রচার করে বিশ্ববিদ্যালয়কে হাস্যকর বানিয়েছেন। আশেপাশে দোকানগুলোতে কোনো ধরনের কাউন্সিলিং ছাড়াই সিগারেট বিক্রি বন্ধের নোটিশ দিয়েছেন। খাতা কলমে আর সাইনবোর্ডে যদি সব ঠিক হয়ে যেতো তাহলে আর মানুষকে মাঠে নামতে হতো না। এতো অভিজ্ঞ হয়েও উপাচার্য সুবুদ্ধি গ্রহণ করেননি। ফলাফল হিসেবে আমরা আজকের অচলাবস্থার সম্মুখীন হয়েছি। সকলে ক্ষতির শিকার হচ্ছি। এতকিছুর পর তিনি কিভাবে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন! মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তিনি এতবড়ো মিথ্যা কথা কিভাবে বলেন!

কিভাবে তিনি নিজেকে শিক্ষক দাবি করেন আমি অবাক হয়ে যাই! শিক্ষার্থীদের ২২ দফাকে ভিসি অবমূল্যায়ন করেছেন। নিজের চারপাশে চাটুকার দিয়ে ভরিয়ে তুলেছেন। আর বর্তমানে ঢাকায় বসে দাম্ভিক আচরণ করে আন্দোলনকে দীর্ঘায়িত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এই অচলাবস্থা আমাদের কষ্ট ও পীড়া দেয়। অতিথির মতো আসা ভিসির দায় না থাকতে পারে কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমার দায়-দায়িত্ব। কথাগুলো কষ্টের বাহবা দেবার নয়। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সরকার তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম এই বিদ্যাপীঠকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কিন্তু তিনি দায়িত্বকে পুরস্কার ভেবে তা নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন।

শিক্ষার্থীদের অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। নিজের মেয়াদ শেষ জেনে সবকিছুইকেই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছেন। ভালোবাসার এই বিশ্ববিদ্যালয়কে কেউ অবনমনের দিকে নিয়ে যাক তাই চাই না। প্রিয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার অবসান ঘটুক।