নিজস্ব প্রতিবেদক, ভোলা:: ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ মোকাবেলায় ভোলাতে ৬৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৮টি কন্ট্রোল রুম প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় ২২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি ১০ হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছেন। ইতিমধ্যে উপকূলীয় চর ও দুর্গম এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারণাও শুরু হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিক বুধবার (১ মে) রাতে বরিশালটাইমসকে একথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিবন্ধীদের সহায়তায় সাত উপজেলায় ৮০ সদস্যের ৮টি টিম গঠন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, জেলা প্রশাসনের সব কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বুধবার (১ মে) থেকে চরগুলোতে সতর্কতামূলক প্রচারণা শুরু হয়েছে। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির দুই দফা বৈঠক হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরেও আরেক দফা বৈঠক হবে বলে।

অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ভোলা জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট। এ উপলক্ষে বুধবার (১ মে) বিকেলে আলাদা সভা করেন জেলা প্রশাসক ও ভোলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট। রেড ক্রিসেন্ট জেলা অফিসে অনুষ্ঠিত হয় এ সভা।

সভায় ভোলা জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারী মো. আজিজুল ইসলাম জানান, রেড ক্রিসেন্টের পাঁচ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগকালীন সময়ে জরুরি খাদ্য সরবরাহে চিড়া-গুড় বিতরণের জন্য দোকান ঠিক করে রাখা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিট অফিসার তরিকুল ইসলাম, যুব প্রধান আদিল হোসেন তপু, প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রধান সাদ্দাম হোসেন, কলেজ শাখার প্রধান সুমন প্রমুখ।

ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় ভোলা আবহাওয়া অধিদফতরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলা আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী মাহবুব রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে।